আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মুরাদ হাসানের নির্বাচনি কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলালের সমর্থকরা হামলা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে সরিষাবাড়ি পৌরসভার তাড়িয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত ছয়জনকে উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন—ফারুক হোসেন (২৬), রুকন মিয়া (২৮), কফিল সরকার (২৫), রুবেল মিয়া (২৮), হামজা (১৮) ও ফরহাদ হোসেন (২২)। বাকিরা হাসপাতালে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের পক্ষে কয়েকজন মিছিল বের করেন। পরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান হেলালের নৌকা প্রতীকের এক সমর্থক তাদের ধমক দেন। সেই সঙ্গে মিছিল থেকে দুই কিশোরকে ডেকে নিয়ে চড় মেরে নৌকার পক্ষে মিছিল করতে বলেন। পরে তারা মিছিল বাদ দিয়ে ঈগলের নির্বাচনি ক্যাম্পে চলে যায়। একপর্যায়ে নৌকার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র, রামদা ও লাঠিসোটা নিয়ে ঈগল প্রতীকের নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা করে। হামলায় নির্বাচনি প্রচারণা ক্যাম্পসহ দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
এ বিষয়ে মুরাদ হাসানের সঙ্গে কথা বলতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
মুরাদ হাসানের নির্বাচনি প্রচার প্রচারণার প্রধান প্রতিনিধি পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল বলেন, ‘নৌকার সমর্থকরা আমাদের নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করে। অফিস ভাঙচুর করে। নেতাকর্মীদের অতর্কিত হামলা করে মারধর করে আহত করেছে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। প্রশাসনিকভাবে এ ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা করি।’
নৌকার প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমানের সঙ্গেও মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনার বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ তৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ খবর এনটটিভি।