বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় কিশোর হৃদয় আহম্মেদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলিপ কুমার আগারওয়ালকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন।
বিকেলে আগারওয়ালকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই মো. সাদেক ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
অন্যদিকে আগারওয়ালার পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চিপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিটিউশন বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আগারওয়ালকে রাজধানীর গুলশানের আকাশ টাওয়ার থেকে আটক করা হয়। পরে এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
আগারওয়ালাকে আটক করার পর পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালান, ডায়মন্ডের ব্যবসা নিয়ে প্রতারণা, কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু হত্যা মামলায় তার নাম থাকায় তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই দুপুর ২ টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেয় কিশোর হৃদয় আহম্মেদ (১৬)। বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থানকালে গুলিতে গুরুতর আহত হয় হৃদয়। আরও অনেকে তখন গুরুতর আহত হয়। আহতদের আফতাবনগর নাগরিক স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে সন্ধ্যায় হৃদয়ের লাশ শনাক্ত করা হয়। পরে তার লাশ মাদারীপুর শিবচরের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় আন্দোলনের সময় হৃদয়ের সঙ্গে থাকা শাহাদত হোসেন নামে এক ব্যক্তি গত ২২ আগস্ট শেখ হাসিনাসহ ১৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ৪০০-৫০০ জনকে।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, আগারওয়াল এই মামলার এজাহার নামীয় ২০ নম্বর আসামি। আগারওয়ালাসহ তার সঙ্গীয় অস্ত্রধারীদের গুলিতে হৃদয় নিহত হয়।
পলাতক আসামিদের নাম-ঠিকানা শনাক্ত, তাদের গ্রেপ্তার, ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, ঘটনার মূল হোতা কে বা কাহারা, অর্থ যোগানদাতা, আগ্নেয়াস্ত্রপ্রাপ্তির উৎস, নেপথ্যে কারা, পরিকল্পনাকারী কারা, আসামিদের কার কি ভূমিকা তা জানার জন্য আগারওয়ালাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।