সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

সপ্তাহ ব্যবধানে আবারও চড়া নিত্যপণ্যের বাজার। দাম বেড়ে গেছে শাক-সবজি, মসলা ও মাছসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের। এর মধ্যে কাঁচা মরিচের কেজি গিয়ে ঠেকেছে ২০০ টাকায়। আজ শুক্রবার (২৪ মে) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কেরানীগঞ্জের আগানগর এবং রাজধানীর শ্যামবাজার, নয়াবাজার, কারওয়ানবাজার, নিউমার্কেট ও হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ বেশকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বিক্রেতারা জানান, তীব্র গরমে দাম বেড়ে গেছে প্রায় সব নিত্যপণ্যেরই। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। এতে বেচাবিক্রি কিছুটা কমলেও মজুতের প্রবণতা কমেনি ভোক্তার।

বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৯০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা ও কহি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ধুন্দল ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, লতি ৬০-৭০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। আর বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দাম চড়েছে কাঁচা মরিচেরও। খুচরায় দাম ছুঁয়েছে ডাবল সেঞ্চুরি। বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়। আর পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৭০-১৮০ টাকা।

খুচরা বিক্রেতারা বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৫০-৬০ টাকা পর্যন্ত। তীব্র গরমের কারণে গাছ মরে যাচ্ছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন; তাই বাড়ছে দাম।

এদিকে, পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা জানান, প্রতিবছর এ সময়ে কাঁচামরিচের দাম বাড়ে। তীব্র গরম ও ঝড়-বৃষ্টি এর মূল কারণ।

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৬০০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। এছাড়া আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ৮০০-৯০০ গ্রাম ইলিশ ১৬০০ টাকা ও ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৪০০ টাকায়।

উত্তাপ ছড়াচ্ছে মসলার বাজারও। কোরবানিকে কেন্দ্র করে বাজারে দাম বাড়ছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ, জিরা ও এলাচসহ প্রায় প্রতিটি মসলার।

বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এছাড়া কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৩০-২৪০ টাকায় ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। আর আদা কেজিতে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।

এছাড়া বাজারে দারুচিনি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা, জিরা ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, এলাচ প্রকারভেদে ৩০০০ থেকে ৩৬০০ টাকা, গোলমরিচ ৮৮০ থেকে ৯০০ টাকা, লবঙ্গ ১৬০০ থেকে ১৬৫০ টাকা, তেজপাতা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শুকনো মরিচ মানভেদে ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকা আলুবোখারা ৯৯০ টাকা, কাজুবাদাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা ও ধনিয়া ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তবে বাজারে নতুন করে বাড়েনি ডিম ও মুরগির দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

আর কিছুটা কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৮০ টাকায়। আর প্রতিকেজি দেশি মুরগি ৭২০-৭৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। এছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

বাজারে মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, আর সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতা জানান, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় নতুন করে দাম বাড়েনি ডিম ও মুরগির। তবে গরম ফের বাড়লে, আবারও অস্থির হতে পারে বাজার।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *