সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪

ব্যাংকগুলো বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের রিপোর্ট সময়মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দিচ্ছে না। কখনো কখনো ভুল তথ্যও দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন সম্পর্কিত নানা নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না বা সঠিকভাবে পরিপালন করছে না ব্যাংকগুলো। এ কারণে ফরেন এক্সচেঞ্জ ড্যাশবোর্ডে সঠিক সময়ে তথ্য আপডেট করতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ ছাড়াও, আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের হিসাব সংবলিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক ও ব্যালেন্স অব পেমেন্ট (বিওপি) প্রতিবেদন প্রস্তুত ও গবেষণা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। এসব বিষয় উল্লেখ করে নতুন এক নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোকে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার পরবর্তী ৮ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে বলা হয়েছে।

বুধবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অপারেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনায় ফরেন এক্সচেঞ্জ ড্যাশবোর্ডে যথাসময়ে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টিং নিশ্চিতকরণ করতে ব্যাংকগুলোকে তাগিদ দিয়ে বলা হয়, গাইডলাইন্স ফর ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন্স ২০১৮ এবং সময়ে সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারি করা সার্কুলার ও সার্কুলার লেটারের নির্দেশনার আলোকে বৈদেশিক মুদ্রার অনুমোদিত ডিলার তথা তফসিলি ব্যাংকসমূহ কর্তৃক নিয়মিত ভিত্তিতে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন রিপোর্ট করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু, ড্যাশবোর্ডে ভুল ও বিলম্বে রিপোর্টিংয়ের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বিওপি হিসাবায়ন এবং মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

এ নির্দেশনায় বলা হয়, ফরেন এক্সচেঞ্জ ড্যাশবোর্ডে আমদানির কন্ট্রাক্ট বা ঋণপত্র (এলসি) সম্পন্নকরণ ও রপ্তানির ক্ষেত্রে কন্ট্রাক্ট বা এলসি প্রাপ্তি এবং বৈদেশিক মুদ্রায় যেকোনো মূল্য পরিশোধ ও প্রাপ্তির ৮ কর্মঘণ্টার মধ্যে ড্যাশবোর্ডে তথ্য প্রদান করার নির্দেশ দেওয়া হলো।

এ ছাড়াও ড্যাশবোর্ডের বিভিন্ন মডিউলের নির্ধারিত টেমপ্লেটে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রদান করা এবং ড্যাশবোর্ডে রিপোর্টিং তদারকির জন্য ব্যাংকের স্ব স্ব প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *