সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

দেশের খোলা বাজারে ডলারের দাম আবারও বেড়েছে। ব্যাংক ও খোলা বাজারে ডলারের বিনিময় হারের পার্থক্য গত কয়েক মাস কম থাকার পর তা আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এরফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ব্যাপকভাবে কমছে।

আজ সরকারি ছুটি হওয়ায় অধিকাংশ মানি চেঞ্জার বন্ধ রয়েছে। রাজধানীর পল্টন এলাকা ঘুরে কয়েকটি মানি চেঞ্জার হাউস খোলা দেখা যায়। এসব হাউসে স্বল্প পরিসরে বিদেশি মুদ্রা কেনা-বেচা হচ্ছে।

এদিন জানা যায়, খোলা বাজারে ১১৭ টাকা থেকে ১১৭ টাকা ৭০ পয়সায় ডলার বিক্রি হচ্ছে। যেখানে গতকাল পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোয় প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ১০৯ টাকা ৬০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছিলো।

তবে মানি চেঞ্জাররা বিদেশি মুদ্রার একটি মূল্য তালিকা করেছেন। সেখানে ডলার বিক্রির দাম ১১২ টাকা ও কেনার দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে নিজেদেরই তৈরি করা বিদেশি মুদ্রার এই দাম সবাই মানছে না।

সম্প্রতি নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচা করায় সাত মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি একই কারণে আরও দশ মানি চেঞ্জারের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

একই সময়ে বেশি দামে ডলার বেচাকেনার অভিযোগে ১৩ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তলব করা ব্যাংকগুলো বেসরকারি খাতের। এর মধ্যে একটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক রয়েছে।

এদিকে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) নির্ধারিত দামে ব্যাংকগুলো ডলার কেনা-বেচা করছে। তবে এরমধ্যেই ডলারের খোলা বাজারে দাম বেড়ে এই নতুন অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, এবিবি ও বাফেদা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে প্রতি মাসে ডলারের দাম নির্ধারণ করে। এরই ধারবাহিকতায় গত ১ আগস্ট তারা রেমিট্যান্সের বিনিময় হার ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে। আমদানিকারকদের জন্য প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা ও রপ্তানিকারকদের জন্য ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশে ব্যাপকহারে ডলার সংকট দেখা দেয়। পাশাপাশি কমতে প্রবাসীদের পাঠানো ডলারের পরিমাণ। এরফলে ধারবাহিকভাবে কমতে থাকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। রিজার্ভ কমে যাওয়ায় বিদেশি মুদ্রার বাজার গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী আগস্ট মাস শেষে দেশের রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩০৬ কোটি ডলার। এটি রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের আগের সময়ের তুলনায় অনেক কম।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *