বাংলাদেশ টেক্সটাইল টুডে ও সেন্ট্রু টেক্স লিমিটেডের মধ্যে টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট আয়োজনে পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের জন্য উদ্ভাবন এখন একটি জরুরি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ক্রয়াদেশ ঘাটতিসহ ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প এক কঠিন সময় পার করছে। খরচ কমানো এবং উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়া বিশ্ববাজারে টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে উদ্ভাবনই পারে শিল্প মালিকদের উৎপাদন খরচ কমিয়ে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে।
শিল্পের এমন কঠিন সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে উদ্ভাবনের চর্চাকে এগিয়ে নিতে বস্ত্র শিল্পের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট’ ২০২৩-২৪ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল টুডে।
সোমবার (১৩ মার্চ) সেন্ট্রু টেক্স লিমিটেডের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এ সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেক্সটাইল টুডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক আমিন ও সেন্ট্রু টেক্স লিমিটেডের প্রধান অপারেটিং অফিসার নিকোলাস এন্টন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এসময় সেন্ট্রু টেক্স লিমিটেড এবং টেক্সটাইল টুডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় সেন্ট্রু টেক্স লিমিটেড অষ্টমবারের মতো অনুষ্ঠিত ‘টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট ২০২৩-২৪ এর টাইটেল স্পন্সর হিসেবে সম্পৃক্ত থাকবে ও প্রতিযোগিতা আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল টুডের সঙ্গে একত্রে কাজ করবে।
তারেক আমিন বলেন, গতবারের প্রতিযোগিতায় টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট ১০০টি ইনোভেশন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করেছিল, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পজগতের ৩০০ জন বিশেষজ্ঞ নির্বাচিত ১০০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মেনটর হিসেবে সম্পৃক্ত ছিলেন।
নিকোলাস এন্টন জানান, এ সমঝোতা স্মারক উভয়পক্ষের জন্যই ‘উইন-উইন’ বিষয় হয়েছে। সেন্ট্রু টেক্স লিমিটেড সবসময় ইন্ডাস্ট্রিতে ইনোভেশন ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে। এখন টেক্সটাইল টুডের মতো প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে কাজ করতে পেরে তারা খুবই আনন্দিত।
টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট বাংলাদেশ টেক্সটাইল টুডের একটি উদ্যোগ, যা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল গার্মেন্টস এবং ফ্যাশনে অধ্যয়নরত আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য একটি প্রতিভাসমৃদ্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যতের বস্ত্র প্রকৌশলীদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বকে গবেষণার মধ্য দিয়ে আধুনিক ইনোভেশন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করতে উৎসাহিত করা।
২০০৮ সালে টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা সর্বপ্রথম আয়োজন করার পর ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৩, ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে প্রতিযোগিতাগুলো সফলভাবে সম্পন্ন হয়। ‘টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট’ ২০২৩-২৪ হচ্ছে এর অষ্টম আয়োজন।