সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

আগস্ট মাসে বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম কিছুটা কমেছে। এ নিয়ে টানা দুই মাসে বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম কমল। গত মাসে চিনি, মাংস ও শস্যের দাম কমলেও দুগ্ধজাত পণ্য ও উদ্ভিজ্জ তেলের দাম বেড়েছে।

রয়টার্সের এক সংবাদে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

সংবাদে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিভাগের (এফএও) মাসিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সূচকে দেখা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত টানা পাঁচ মাস বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম বেড়েছিল।

বিশ্ববাজারে জুলাই ও আগস্ট মাসে খাদ্যমূল্য কমলেও বাংলাদেশে জুলাই মাসে গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। গত জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। জুন মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হওয়া খাদ্যপণ্যের ভিত্তিতে এফএওর মূল্যসূচক তৈরি করা হয়। সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগস্টে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক কমে ১২০ দশমিক ৭ পয়েন্টে নেমে এসেছে; জুলাই মাসে যা ছিল ১২১ পয়েন্ট।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২২ সালে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই মূল্যস্ফীতি রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে। বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের দুর্দশার অন্ত ছিল না। ২০২২ সালে এফএওর গড় খাদ্যমূল্য সূচক ছিল এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি—১৪৪ দশমিক ৭। ২০২৩ সালে তা অনেকটাই কমে ১২৪ দশমিক দশমিক ৭-এ নেমে আসে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এফএও সূচক কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে।

দেখা গেছে, আগস্টে এফএওর খাদ্য মূল্যসূচক ছিল গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ এবং ২০২২ সালের মার্চ মাসের তুলনায় ২৪ দশমিক ৭ শতাংশ কম।

মোট পাঁচ ধরনের খাদ্যপণ্যের ভিত্তিতে এই খাদ্য মূল্যসূচক তৈরি করে এফএও। দেখা গেছে, আগস্ট মাসে মাংসের সূচক ছিল ১১৯ দশমিক ৫; জুলাই মাসে যা ছিল ১২০ দশমিক ৪। দুগ্ধজাত পণ্যের গড় মূল্যসূচক ছিল ১৩০ দশমিক ৬ পয়েন্ট; জুলাই মাসে যা ছিল ১২৭ দশমিক ৯।

তবে গত মাসে শস্যজাতীয় খাদ্যের দাম কমেছে। আগস্ট মাসে এই শস্যজাতীয় খাদ্যের মূল্যসূচক ছিল ১১০ দশমিক ১; জুলাই মাসে যা ছিল ১১০ দশমিক ৭। উদ্ভিজ্জ তেলের মূল্যসূচক ছিল ১৩৬; গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩৫। এ ছাড়া আগস্টে চিনির মূল্যসূচক ছিল ১১৩ দশমিক ৯; জুলাই মাসে যা ছিল ১১৯ দশমিক ৫।

এদিকে আরেক প্রতিবেদনে এফএও চলতি বছরের জন্য বিশ্বব্যাপী শস্য উৎপাদনের পূর্বাভাস সংশোধন করেছে। চলতি বছর শস্য উৎপাদন পূর্বাভাস ২৮ লাখ টন কমিয়ে ২ হাজার ৮৫ কোটি ১০ লাখ টনে নামিয়ে আনা হয়েছে। গত বছরও সমপরিমাণ শস্য উৎপাদিত হয়েছিল।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *