অক্টোবর ১০, ২০২৪

সাইরাস মিস্ত্রির কাছে, যার সাথে পরে তাঁর সম্পর্কের অবনমন হয়। শিল্পগোষ্ঠীটির পরিচালনা পর্ষদের অভ্যন্তরীণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিস্ত্রির বিদায় হয়, যিনি পরে ২০২২ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। মিস্ত্রির চলে যাওয়ার পর ভারতের বৃহত্তম এই শিল্পগোষ্ঠীর ইমেরিটাস চেয়ারম্যান হন রতন।

আমৃত্যু ছিলেন সাধারণ মানুষের জন্য নানা সেবামূলক কাজে যুক্ত। প্রাণী অধিকার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে অবদান রেখেছন। শতকোটিপতি হিসেবে দেখনদারি পছন্দ করতেন না। এ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতেও কুণ্ঠিত হতেন না।

১৯৩৭ সালে জন্মানো রতন টাটা বড় হয়েছেন তাঁর দাদি ণবাজবাই টাটার কাছে। ১৯৪৮ সালে তাঁর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর থেকে তাঁর কাছেই বেড়ে উঠেছেন। পড়াশোনা করেছেন স্থাপত্যবিদ্যায় কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনার ওপর ডিগ্রি নেন। চারবার সম্ভাবনা তৈরি হলেও অকৃতদার এই মহিরুহ প্রেমেও পড়েছিলেন। লস অ্যাঞ্জেলেসে থাকতে সে প্রেম পরিণয়ে পৌঁছায়নি ভারত-চীন যুদ্ধের কারণে। ১৯৬২ সালের সেই যুদ্ধের সময় মেয়ের পরিবার তাদের মেয়েকে ভারতে যেতে দিতে চায়নি। সমাজে অবদানের জন্য ২০০০ সালে পদ্মভূষণ ও ২০০৮ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হলেও তাঁর মুকুটের সবচেয়ে জ্বলজ্বলে রত্নটির নাম সম্ভবত ভারতের সাধারণ মানুষের ভালোবাসা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *