জাপানে আঘাত হেনেছে টাইফুন ল্যান। প্রবল শক্তিশালী টাইফুনটি মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ভোরে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে আঁছড়ে পড়ে। এই ঘটনায় দেশটিতে প্রায় ৮০০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া হাজার হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোরে পশ্চিম জাপানে টাইফুন ল্যান আঘাত হানার পর প্রায় ৮০০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং কয়েক হাজার বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া বন্যা ও ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
রয়টার্স বলছে, প্রশান্ত মহাসাগর থেকে টাইফুন ল্যান মঙ্গলবার ভোরে রাজধানী টোকিও থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ওয়াকায়ামা অঞ্চলের দক্ষিণ প্রান্তে আঘাত হেনেছে। টাইফুনটি ভারী বৃষ্টি এবং প্রবল বাতাসের সাথে মধ্য ও পশ্চিম জাপানের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে আঁছড়ে পড়ে।
পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির নদীগুলোতে পানির স্রোত বয়ে যেতে এবং পানির চাপ তীরে উপচে পড়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। অনেক এলাকায় বাড়িঘর এবং দোকানের মেঝেতে পানি ঢুকে পড়ায় সেগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং নারা শহরে প্রবল বাতাসে নির্মাণস্থলে ব্যবহৃত একটি ভারা ভেঙে পড়েছে।
বিদ্যুৎ সেবাদানকারী আঞ্চলিক ইউটিলিটিগুলোর তথ্য অনুসারে, মধ্য ও পশ্চিম জাপানের প্রায় ৯০ হাজার বাড়িঘরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। সেভেন অ্যান্ড আই (3382.T) জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেভেন-ইলেভেনের ২১০টি আউটলেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, প্রবল বৃষ্টি ও বিপজ্জনক বাতাসের কারণে বহু রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে এবং পশ্চিম জাপানে কয়েক ডজন ট্রেন লাইনে পরিষেবা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মধ্যাঞ্চলীয় টোকাই অঞ্চলে প্রায় ৩৫০ মিমি বৃষ্টিপাত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা আগস্ট মাসের গড় বৃষ্টিপাতের প্রায় তিনগুণ বেশি।
টাইফুন ল্যানের বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) এবং হোনশু দ্বীপের পশ্চিম অংশজুড়ে প্রায় ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার (৯ মাইল) বেগে উত্তর-পশ্চিমে এটি সরে যাচ্ছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুসারে, বুধবার ভোরের মধ্যে টাইফুন ল্যান জাপান সাগরে পৌঁছাতে পারে এবং এরপর সমুদ্র বরাবর উত্তর দিকে এগোনো অব্যাহত রাখতে পারে।