গত সপ্তাহে হুট করেই প্রধান কোচ গ্যারি স্টেডকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে আচমকা অবসরের ঘোষণা দেন নিল ওয়াগনার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টের সিরিজের প্রথম ম্যাচে একাদশে থাকবেন না এমন কথা জানার পর অবসরের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যদিও তার এক সময়ের সতীর্থ রস টেইলর মনে করেন জোর করে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে বাঁহাতি এই পেসারকে।
টেইলর মনে করেন ওয়াগনারের অবসর নেয়ার ইচ্ছে থাকলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষেই নিতে পারতেন। কারণ এই সিরিজে খেলার জন্য তিনি তৈরিও ছিলেন। যদিও টেইলরের সঙ্গে একমত নন উইলিয়ামসন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না কাউকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে। গত সপ্তাহটা তার (ওয়াগনার) দারুণ কেটেছে এবং সেটা ছিল তার অবিশ্বাস্য ক্যারিয়ারেই প্রতিচ্ছবি।’
মাসখানেক আগে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে উইকেট নেয়ার পর কাউকে উদ্দেশ্য করে ‘চুপ করার’ ইঙ্গিত করেছিলেন ওয়াগনার। এমনকি একটি উইকেট পতনের পর দলীয় উদ্যাপনের সময় কাউকে ‘মাঝের আঙুল’ও দেখান তিনি।
মূলত এগুলোর সঙ্গে অবসরের সম্পর্ক আছে কি না, সে বিষয়ে একটি অনুষ্ঠানে জানতে চাওয়া হয়েছিল টেইলরের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এখন এগুলো একটু বোঝা যাচ্ছে। লুকিয়ে লাভ নেই, আমার মনে হয় এটা বাধ্যতামূলক অবসর। যদি ওয়াগনারের সংবাদ সম্মেলনের কথা শোনেন-সে অবসর নিচ্ছে কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের পরই। মানে সে নিজেকে প্রস্তুত রেখেছিল।’
এদিকে ওয়াগনারের মুখে আঙুল দিয়ে ‘চুপ করার’ উদ্যাপনের ব্যাখ্যাও দেন উইলিয়ামসন। উইলিয়ামসন আরও বলেন, ‘তারা দুজনেই দারুণ সতীর্থ এবং ভবিষ্যতেও তাই থাকবে। ওয়াগনারের ফিল্ডিং নিয়ে ড্রেসিংরুমে খোঁচাখুঁচি হয়েছিল। এজন্য সে (সাউদি) তাকে ফাইন লেগে ফিল্ডিংয়ে রেখেছিল যেন ক্যাচ নিতে পারে। ওয়াগনার সে সুযোগটা নিয়েছে। আমার মনে হয় এটা সে-ও (ওয়াগনার) জানে যে বিষয়টি প্রাসঙ্গিক নয় এবং দেখতেও ভালো লাগে না। কিন্তু কিছু কিছু সময় ব্যাপারটা মজার ছিল এবং তা কোন বিষয় নিয়ে, সব খেলোয়াড়ই তা বুঝতে পেরেছে।’