ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থাটি বলছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। এর আগে গত এপ্রিলে প্রকাশিত এডিবির প্রতিবেদনে চলতি অর্থবছরের জন্য ৬ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়। সেপ্টেম্বরেও ওই পূর্বাভাস বহাল রাখে এডিবি।

গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এডিবির এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ডিসেম্বর-২০২৩ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানোর কথা জানানো হয়েছে। এর কারণ হিসেবে রপ্তানি ও উৎপাদনে মাঝারি প্রবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের ঘাটতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং রপ্তানি বাজারগুলোতে অর্থনীতির ধীরগতির কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার ঝুঁকিও পূর্বাভাস কমানোর কারণ।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ঠিক কতটা কমানো হয়েছে, সে তথ্য দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এডিবির ঢাকা কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা গতকাল সমকালকে বলেন, চলতি অর্থবছর ৬ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে মনে করছে এডিবি।

সম্প্রতি চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করেছে সরকার। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয় ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

এদিকে সামনের মাসগুলোতে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে আশা করছে এডিবি। গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলেছে, নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও গত জুলাই থেকে অক্টোবর সময়ে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার দুই অঙ্কের খুব কাছাকাছি ছিল। তবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অব্যাহত রাখা, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালুর বিষয়ে উদ্যোগ, খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য কমে আসার ফলে আগামী মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতির হার কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

টানা কয়েক মাস ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে। গত জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গড় মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে ছিল। তাই সম্প্রতি এর লক্ষ্যমাত্রায় সংশোধন এনেছে সরকার। চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। মূল্যস্ফীতি এখন ৭ শতাংশের মধ্যে রাখতে চাচ্ছে সরকার।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...