সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছে আপিল বিভাগ।

দলটির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের কার্যক্রম চালাতে বাধা নেই বলে জানান এডভোকেট মো. অজি উল্লাহ।

আদালতে জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মো. অজি উল্লাহ ও এডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম। অপরপক্ষে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ‘লিভ টু আপিল’ দায়ের করা হয়।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাপা চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুলও জারি করে উচ্চ আদালত।। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।

জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২০২২২ সালের ৪ অক্টোবর মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাপা চেয়্যারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন। পরে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়্যারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে। ২৪ নভেম্বর এই আবেদনের শুনানির জন্য জেলাজজ আদালতে মিস আপিল দায়ের করা হয়। সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন জেলা জজ আদালত। জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন জিএম কাদের।

মামলায় বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়্যারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।

জিয়াউল হক মৃধার মামলায় বলা হয়, দলের গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। তাকেও অগঠনতান্ত্রিক ও অবৈধ ভাবে বহিষ্কার করা হয় বলে মামলায় দাবী করা হয়।
জিএম কাদের এমপি এখন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *