দেশের তৈরি পোশাক খাতের অন্যতম শীর্ষ বাজার জার্মানিতে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১৫.১০ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময় দেশটিতে মোট রপ্তানি হয়েছে ২৩০ কোটি ৭৭ লাখ ডলারের পোশাক। গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ২৭১ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রকাশ করা দেশভিত্তিক প্রধান প্রধান বাজারগুলো বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় গন্তব্য ইউরোপের দেশ জার্মানি ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি উদ্যোক্তাদের দুশ্চিন্তার বড় কারণ হতে পারে। এজন্য তারা অর্থনৈতিক মন্দা বড় কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন।
পরিসংখ্যান অনুসারে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জুলাই-নভেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নে মোট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৯০৫ কোটি ডলারের। এ সময় মোট প্রবৃদ্ধি হয়েছে ০.১৮ শতাংশ। মোট রপ্তানির হিস্যা ৪৮ শতাংশ।
বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, জার্মানিতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি উদ্যোক্তাদের দুশ্চিন্তার বড় কারণ হতে পারে। তিনি মনে করছেন অর্থনৈতিক মন্দা এর বড় কারণ হতে পারে। এদিকে আরেক শীর্ষ রপ্তানি গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা ভালো করতে পারছে না। ঋণের চাপ ও অর্থনৈতিক চাপে রয়েছে দেশগুলো। তবে অপ্রচলিত বাজারে বরাবরই ভালো করছে বাংলাদেশ।
ইপিবির তথ্য বলছে, অপ্রচলিত বাজারে এ সময় মোট রপ্তানি হয়েছে ৩৬৪ কোটি ডলার, যা মোট রপ্তানি হিস্যার ১৯.৩৩ শতাংশ। এ সময় মোট প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪.১২ শতাংশ।
এদিকে ইপিবির প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে মোট পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩২৭ কোটি ৮৩ লাখ ডলার।
গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৪৭ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। এ সময় আয় কম হয়েছে ৫.৭৬ শতাংশ। এছাড়া কানাডায় মোট রপ্তানি আয় ৬০ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এ সময় রপ্তানি আয় কমেছে ২.৭১ শতাংশ।
তবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ফলে যুক্তরাজ্যের বাজারে রপ্তানি আয় বাড়ছে। ইপিবির তথ্য অনুসারে যুক্তরাজ্যে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ২২৫ কোটি ডলার, যা মোট রপ্তানির হিস্যা ১১.৯৮ শতাংশ। আর প্রবৃদ্ধি ১৪.৬১ শতাংশ।