

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় আপিলের শর্তে জামিন পেয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।
আত্মসমর্পণ করে আজ বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে জামিন আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব তার এ জামিন মঞ্জুর করেন।
শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, আপিলের শর্তে শফিক রেহমান আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। এরপর খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করা হলে আদালত আপিল গ্রহণ করে শুনানির জন্য পরে তারিখ দেওয়া হবে বলে জানান।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর তার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে এক বছরের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে এ সাজা স্থগিতের আদেশ দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লা।
৩০ সেপ্টেম্বর প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন আদালত।
বিগত ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে আসামিরা একত্রিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করেন।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।