জাপানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেও প্রধানমন্ত্রীর পদ ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছেন শিগেরু ইশিবা। পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটে আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) দেশটির ক্ষমতাসীন জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে প্রয়োজনীয় সমর্থন পেয়েছেন তিনি। খবর এএফপির।
আইনপ্রণেতাদের এই ভোটের ফলে শিগেরু ইশিবা কোয়ালিশন সরকারের প্রধান নির্বাচিত হলেও আইন পাস করার জন্য তাঁকে অচলাবস্থার মধ্যে পড়াসহ শরিকদের সঙ্গে আরও বেশি সমঝোতা করতে হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইশিবা। দায়িত্ব নিয়েই অক্টোবরের ২৭ তারিখে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন তিনি। ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) শক্তি পরখ করতেই মূলত তিনি এই নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
তবে, মূল্যস্ফীতিতে অসন্তুষ্ট ও দলীয় তহবিল কেলেঙ্কারিতে বিরক্ত জাপানের ভোটাররা ব্যালটের মাধ্যমে যে জবাব দেন তাতে এলডিপি ও তাদের অংশীদার দলগুলো বেশ বড় ধাক্কা খায়।
দেশটির সাধারণ নির্বাচনের পর আজ সোমবার জাপানের পার্লামেন্টের সদস্যরা নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য ভোট প্রদান করেন। তবে ইশিবার জন্য ইতিবাচক দিক হলো বিভক্ত বিরোধী দলগুলো তার জন্য বিশ্বাসযোগ্য কোনো চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারেনি।
১৯৯৪ সালের পর প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় দফার ভোটাভুটিতে ইশিবা ২২১ ভোট পান। অন্যদিকে কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী ইয়োশিহিকো নোদা পান ১৬০ ভোট। তবে আটটি ভোট এখানে গণনা করা হয়নি কেননা তারা অন্য প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেন।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের স্পিকার ফুকোশিরো নাকাগা ভোটাভুটির পর ঘোষণা করেন, শিগেরু ইশিবা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এসময় হর্ষোৎফুল্ল পার্লামেন্ট সদস্যদের মাথা নুইয়ে অভিবাদন জানান ইশিবা।
অক্টোবরের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেও জাপানের ৪৬৫ আসনের পার্লামেন্টে এলডিপির নেতৃত্বাধীন জোটই সবচেয়ে বড় ব্লক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। জাপানের সম্রাটের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের পর কাজ শুরু করবে মন্ত্রিসভা।