ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪

গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবহার সংক্রান্ত একটি জাতিসংঘ চুক্তিপত্রে সই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্থানীয় সময় বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি অব এরিয়াস বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন (বিবিএনজে)’ নামে এ চুক্তি সই করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে সুমদ্র সম্পদের সু্ষ্ঠু সংরক্ষণ ও আহরণে বাংলাদেশের যে প্রতিশ্রুতি ছিল সেটি আরও দৃঢ় হলো।

চুক্তিপত্রে যারা সই করবে ও অনুস্বাক্ষর করবে তাদেরকে গভীর সুমদ্রে ভাসমান সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এ নিয়মগুলো হলো- মেরিন প্রটেকটেড অঞ্চলে সম্পদ আহরণ করা যাবে না; উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ করতে পারে সেজন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে হবে; অতিরিক্ত মাত্রায় মাছ ধরা যাবে না; পরিবেশের ওপর প্রভাব পর্যালোচনা করতে হবে; সমুদ্র দূষণ রোধ করতে হবে ও গবেষণার জন্য অর্থ ব্যয় করতে হবে।

জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনো দেশের তটরেখা বা উপকূল থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত যে সমুদ্র রয়েছে সেটির ওপর ওই দেশের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে। এরমধ্যে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত পানিতে ভাসমান অর্থাৎ মাছসহ অন্যান্য সম্পদ এবং সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে তার মালিক ওই দেশ। কিন্তু ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে শুধু সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে, তার মালিক ওই দেশ। অন্যভাবে বলা যায়, ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে ভাসমান সম্পদ অন্য যে কোনো দেশও আহরণ করতে পারবে।

চুক্তিপত্র অনুযায়ী, ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে ভাসমান সম্পদ, যা মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস নামে পরিচিত হবে। অন্য কোনো দেশ বা কোম্পানি আহরণ করলে তার একটি অংশ ওই অঞ্চলের মালিকানা দেশ পাবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...