ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা সম্ভব কি না, তা যাচাইয়ের জন্য কমিটি গঠনের আশ্বাস দিয়েছে সরকার। ফলে আপাতত রাজপথে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু মহাখালী’ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কলেজ ভিত্তিক অন্যান্য কার্যক্রম চলমান থাকবে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থী জাভেদ ইকবাল এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আজকে বিকেলে সরকারের পক্ষ থেকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. এম আমিনুল ইসলাম তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে তিতুমীর কলেজের ১৪ জন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা সম্ভব কি না, তা যাচাইয়ে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটির সদস্যরা ফিজিবিলিটি টেস্ট (সম্ভাব্যতা যাচাই) করবেন। সে আশ্বাস অনুযায়ী আপাতত রাজপথের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে কলেজে ভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান থাকবে।

তিনি আরও বলেন, রাজপথের আন্দোলন স্থগিত থাকলেও কলেজ ভিত্তিক কি ধরনের কর্মসূচি হবে তা পরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

সম্প্রতি, তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো —

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে ৭ কলেজ থেকে তিতুমীর কলেজকে পৃথক (আলাদা) করতে হবে।

২. তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের লক্ষ্যে কমিশন গঠন করতে হবে।

৩. এবং তিতুমীরকে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এরমধ্যে একটি কলেজ হচ্ছে- সরকারি তিতুমীর কলেজ। অধিভুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত এই কলেজের একাডেমিক সকল কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। এর আগে সরকারি তিতুমীর কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...