চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বার্তা দিতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার (২১ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে এ ইচ্ছার কথা জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠেয় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের কথা রয়েছে। দুই শীর্ষ নেতার সাক্ষাতে যদি তিনি উপস্থিত থাকেন তাহলে চীনের প্রেসিডেন্টকে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার বার্তা দেবেন।
তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও সময় চূড়ান্ত হয়নি। হেড অফ গভর্মেন্টের সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত শেষ মিনিটে দেয়।
হাসিনা-জিনপিংয়ের আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, আলোচনার শেষ নেই। চীন আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। আমরা অনেকগুলো প্রজেক্ট সই করেছি, এমওইউ সই করেছি, প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলারের সই। আর প্রাইভেটে ১৩ মিলিয়ন। তার থেকে আট বছরে ৪ বিলিয়ন পেয়েছি, সেগুলো যেন ত্বরান্বিত হয়; সেটা আলোচনা হতে পারে। এটা একটা গুরত্বপূর্ণ ইস্যু।
তিনি বলেন, আমরা ঋণের সুদের হার কম চাই। এটার ওপর আলোচনা হবে। দুনিয়াব্যাপী তাদের ঋণের সুদের হার বেড়ে গেছে। আমরা বলব- সস্তায় বিবেচনা করলে ভালো হয়। জলবায়ু ইস্যু থাকবে, আমাদের নিয়মিত অভিবাসন থাকে, আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ চাই। বাণিজ্য বাড়াতে চাই।
চীন বাংলাদেশকে বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য অনেক ছাড় দিয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, চায়না বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য আমাদের অনেক ছাড় দিয়েছে। তবুও বাণিজ্য একপেশে হয়ে গেছে। আমরা বলব বাণিজ্য আরও বাড়াও, বিনিয়োগ কর।