ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে চিনির দাম কমেছে । আগে যেখানে খুচরায় প্রতিকেজি চিনি ১৩৫ টাকায় বিক্রি হতো বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা থেকে ১২৭ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ প্রতিকেজি চিনিতে কমেছে ৮ থেকে ১০ টাকা।
এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ চিনি ডিলার ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। একইভাবে চিনির দাম কমেছে পাইকারি বাজারেও। বাজারে চিনি বিক্রি করে পাঁচটি কোম্পানি। এগুলো হলো- এস আলম গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, দেশবন্ধু গ্রুপ ও ইকলো। পাশাপাশি বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) লাল চিনি বাজারে বিক্রি করে থাকে।
চিনি ডিলার ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে কোম্পানি অনুযায়ী প্রতিকেজি চিনি ১১৮ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫ আগস্টের পর থেকে চিনির দাম কমেছে। এর আগে প্রতিকেজি চিনি পাইকারিতে ১২২ টাকা থেকে ১২৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল। অপরদিকে, সরকারি চিনি মিলগেটে বিক্রি করা হচ্ছে ১২৫ টাকা করে। এ দাম দীর্ঘদিন ধরে একই রকম আছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারেও চিনির দাম কমেছে। সে অনুযায়ী দেশে চিনির দাম আরও কমা উচিত ছিল।’
তিনি আরও বলেন, দেশে বছরে চিনির চাহিদা ১৭ থেকে ১৮ লাখ মেট্রিক টন। একসময় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) ১৭টি কারখানায় চিনি উৎপাদন করা হতো। বর্তমানে ৮ থেকে ৯টি মিলে চিনি উৎপাদন হচ্ছে। আগে যেখানে দেশের এসব মিলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন হতো সেখানে গত বছর চিনি উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৩২ হাজার মেট্রিক টনের মতো। দেশে চিনির উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে আমদানি-নির্ভরতা বেড়েছে।