চালের দাম নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) মাঠে নামার নিদের্শ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ বিষয়ে অংশীজনদের আয়োজিত সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বাজার অস্থিতিশীল করতে অন্তর্বর্তী সময়ে সুযোগ নিয়েছেন মিল মালিকসহ চাল ব্যবসায়ীরা। মিল মালিকরা চালের দাম না কমালে মনিটরিং চলতেই থাকবে। প্রয়োজনে অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, দেশে মিনিকেট ধান বলে কোনো জাত নেই। আইন হয়েছে, বিধিমালাও প্রস্তুত হচ্ছে। এখন থেকে বস্তার গায়ে ধানের নাম ওজন এবং মূল্য উল্লেখ করতে হবে। পাকা মেমো ছাড়া মিল গেটে চাল বিক্রি করা যাবে না। মিল মালিকদের ক্রয় বিক্রয় এবং মজুদের হিসাব প্রতিদিন দাখিল করতে হবে। অন্যথা হলেও লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপীর এ মতবিনিময় সভায় সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে ব্যবসা করতে হবে। রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কাউকে খাদ্য নিয়ে অধিক মুনাফা করতে দেওয়া হবে না।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারিভাবে বিদেশ থেকে কোনো চাল আমদানি করা হবে না। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই শুল্কমুক্ত বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান হোসাইনী, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, চালকল মালিক সমিতির জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিকাশ কুমার বিশ্বাস, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান, হাসকিন মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আক্তার ভান্ডারী প্রমুখ।