কিংবদন্তি কৌতুক অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের কন্যা জোসেফিন চ্যাপলিন মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
গত ১৩ জুলাই প্যারিসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই অভিনেত্রী। শুক্রবার (২১ জুলাই) তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। তবে কী কারণে মৃত্যু সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
জোসেফিন চ্যাপলিন ১৯৪৯ সালের ২৮ মার্চ ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। চার্লি চ্যাপলিন এবং তার স্ত্রী ওনা ও’নিলের তৃতীয় সন্তান ছিলেন। জোসেফিনরা ছিলেন ৮ ভাই বোন। প্রসঙ্গত, চার্লি চ্যাপলিন মোট চারবার বিয়ে করেছিলেন। ওনা ও’নিল ছিলেন সর্বশেষ স্ত্রী।
বাবার পথ অনুসরণ করে খুব কম বয়সেই অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন জোসেফিন চ্যাপলিন। বাবা চার্লি চ্যাপলিনের ১৯৫২ সালে তৈরি ‘লাইমলাইট’ চলচ্চিত্র দিয়েই তার হাতেখড়ি হয়েছিল।
গুণী বাবার মতো অভিনয়কেই তিনি তার পেশা বানিয়েছিলেন। কাজ করেছিলেন একাধিক চলচ্চিত্রে।
তাকে পিয়র পাওলো পাসোলিনির পুরস্কার জয়ী চলচ্চিত্র ‘দ্য ক্যান্টারবারি টেলসে’ দেখা গিয়েছিল। ইকাহফা তিনি লরেন্স হার্ভের সঙ্গে মেনাহেম গোলানের ‘এস্কেপ টু দ্য সান’ চলচ্চিত্রেও কাজ করেছিলেন। সিনেমাটি ১৯৭২ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এখানে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে একদল মানুষের পালানোর গল্প তুলে ধরা হয়। ১৯৮৪ সালে কানাডিয়ান ড্রামা ‘দ্য ব্যাড বয়’ চলচ্চিত্রেও দেখা যায়। সেখানে তার সঙ্গে কিফার সাদারল্যান্ড ছিলেন। ১৯৮৮ সালে জনপ্রিয় টিভি সিরিজ হেমিংওয়েতেও কাজ করেছিলেন তিনি।
তবে বিবাহিত জীবন খুব একটা সুখের ছিল না জোসেফিন চ্যাপলিনের। ১৯৬৯ সালে ‘বে বয়’ অভিনেতা নিক্কি সিস্টোভারিসকে বিয়ে করেন জোসেফিন। ১৯৭৭ সালে বিচ্ছেদ হয় দুজনের। তার পরে ফরাসি অভিনেতা মরিস রনেতের সঙ্গে ছয় বছর একত্রে বাস করেন। পরে বিয়ে করেন পুরাতত্ত্ববিদ জিয়ান ক্লদে গারডিনকে। ২০১৩ সালে গার্ডিনের মৃত্যুর পর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জোসেফিন চ্যাপলিন তার তিন পুত্র এবং ভাই বোনদের সঙ্গে ছিলেন। প্রসঙ্গত, তার তিন ছেলের নাম চার্লি, আর্থার এবং রণেট।