ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪

চলতি মাসেই বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারে দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প ‘তিস্তা সোলার লিমিটেড’ এর পাওয়ার প্ল্যান্ট। ইতোমধ্যে এই প্ল্যান্টে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ২৩ নভেম্বর তিস্তা সোলারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংবাদপত্রে আলোচিত প্ল্যান্টটি চালু করা সংক্রান্ত বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করে। তাতে ২৭ নভেম্বর থেকে উৎপাদন চলবে বলে জানানো হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

তিস্তা সোলার লিমিটেড হচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান (Subsidiary Company)। কোম্পানির ওই প্ল্যান্ট পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারলে দৈনিক ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে।

বেক্সিমকো লিমিটেড ২০২১ সুকুক তথা ইসলামী শরীয়াহসম্মত বন্ড ছেড়ে যে ৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে, তার বড় অংশ তিস্তা সোলারে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

জানা যায়, ২০১৭ সালে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ, রংপুর জেলার পীরগাছা এবং কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী সংযোগস্থলে অবস্থিত বড় চর এলাকায় সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। একই বছর বেক্সিমকো লিমিটেড সরকারের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সাথে বিদ্যুৎ ক্রয় ও বাস্তবায়ন চুক্তি সম্পন্ন করে।

দুর্গম চরে পরিত্যক্ত প্রায় ৬০০ একর জায়গায় সৌরবিদ্যুৎ প্ল্যান্টটি স্থাপন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এই প্ল্যান্টে স্থাপন করা হয়েছে ৮৫টি মাউন্টিং পাইলস। যার ওপরে বসানো হয়েছে প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার সৌর প্যানেল। সারি সারি সাজানো সৌর প্যানেলের সৌন্দর্য দৃষ্টি কেড়ে নেবে যে কারও।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এসব সৌর প্যানেল থেকে ১২০টি ইনভার্টারের মাধ্যমে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। এজন্য ২৮টি বক্স ট্রান্সমিশনে সংযোগ স্থাপন, সাবস্টেশনসহ ১২০ কেভিএ ট্রান্সমিশন টাওয়ার নির্মাণ এবং জাতীয় গ্রিডে সংযুক্তির জন্য তিস্তা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে রংপুর পর্যন্ত তৈরি হয়েছে ৩৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার লম্বা সঞ্চালন লাইন। এ লাইনের মাধ্যমেই সুন্দরগঞ্জের কেন্দ্রটি থেকে রংপুর গ্রিড সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে।

এদিকে সংবাদপত্র প্রকাশিত তিস্তা সোলারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে অবস্থিত তিস্তা সোলার লিমিটেডের ২০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে সংযোগকারী সুন্দরগঞ্জ-রংপুর ১৩২ কেভি ডাবল কেভি সঞ্চালন লাইনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত ১৩২ কেভি ডাবল কেভি সঞ্চালন লাইনটি আগামী ২৭ নভেম্বর, ২০২২ রবিবার ১, ৩২০০০ ভোল্টেজ দিয়ে চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে। চালুর পর হইতে উক্ত লাইনটি উচ্চ ভোল্টেজে (১৩২ কেভি) বিদ্যুতায়িত থাকবে’।

তবে তিস্তা সোলারের প্ল্যান্ট চালুর ব্যাপারে বেক্সিমকো বা তিস্তা সোলার লিমিটেডের কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তার আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

 

 

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...