নভেম্বর ১৩, ২০২৪

দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১২.৭০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮১.৫০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (তেরো) এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম গত মধ্যরাতে (৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৫৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪১০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪২০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত তিনটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে বাংলাদেশে। গত ১৪ মে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এই ঘূর্ণিঝড় ওই দিন সন্ধ্যা ৬টায় টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে। গত ২৪ অক্টোবর রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে। এরপর ১৭ নভেম্বর আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টির মিয়ানমারের দেওয়া নাম ‘মিগজাউম’।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...