সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মুহিববুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯ জেলার ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা সফলভাবে ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দুর্যোগ মন্ত্রণালয় গত কয়েকদিন ধরে প্রস্তুতি গ্রহণ করে। যার ফলে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

সোমবার (২৭ মে) বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমরা গত ৪-৫ দিন কাজ করে যাচ্ছি। অনেক প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। তারপরও আমরা ১০ জনকে হারিয়েছি। গতকাল সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় দেশের উপকূলে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় পানি ঢুকে গেছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়েছে। বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বেশ কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।’

মহিববুর বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, জেলাগুলো হলো- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং যশোর। এছাড়া ১০৭টি উপজেলা এবং ৯১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩ বাড়ি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ ঘরবাড়ি।

তিনি আরও বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় মোট ৯ হাজার ৪২৪ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৮ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।’

দুর্যোগ মোকাবিলা একটি সমন্বিত কার্যক্রম জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ দিক নির্দেশনা, এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সব সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসন, বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সিপিপিসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন এবং ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় আমরা এ দুর্যোগ কার্যক্রম মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি বলে আমি মনে করি।

এদিকে সোমবার (২৭ মে) বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাত ১টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব/পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *