ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

কথায় আছে দাঁত থাকতে নাকি দাঁতের মর্ম দিতে হয়। আর দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে নিয়মিত এর পরিচর্যা জরুরি। সকালে আর রাতে নিয়ম করে ব্রাশ করলেই যে দাঁত ভালো থাকবে, তা কিন্তু নয়। আপনি ঠিক সময়মতো দাঁত ব্রাশ করছেন কি না, খাওয়ার পর ফ্লসিং করছেন কি না কিংবা নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কার করছেন কি না সেটিও কিন্তু জরুরি মুখ ও দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে।

যখনই এসবের কোনোটি এড়িয়ে যান, তখনই দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো দাঁতের হলদেটে দাগ। দাঁত হলদেটে হওয়ার কারণে অনেকেই প্রাণখুলে হাসতে পারেন না। এ সমস্যায় উদ্বিগ্ন না হয়ে বরং ঘরোয়া কয়েকটি উপায় অনুসরণ করুন-

নারকেল তেলের ব্যবহার

দাঁত পরিষ্কার রাখতে প্রাচীনকাল থেকেই এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ব্যাকটেরিয়া অপসারণ ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল তেলে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য দাঁত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

এজন্য এক টেবিল চামচ নারকেল তেল নিন দাঁতে ঘষে নিন। তারপর ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তারপর দাঁত ব্রাশ করুন। নিয়মিত এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে দাঁতের হলদেটে ভাব কমবে।

ফিটকিরি ও লবণের ব্যবহার

ফিটকারি ও লবণ দিয়ে দাঁত বাশ করলেও হলুদ দাগ সহজেই দূর হবে। এজন্য অল্প পরিমাণ লবণের সঙ্গে এক চিমটি লবণ ও ফিটকিরি গুঁড়া মিশিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। তারপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবারের বেশি এই পদ্ধতি অনুসরণ না করাই ভালো।

বেকিং সোডার ব্যবহার

বেকিং সোডা যে কোনো দাগ ওঠাতে খুবই কার্যকরী। ঠিক একইভাবে বেকিং সোডা দাঁতের হলদেটে দাগ দূর করতেও কাজ করে। এজন্য এক টেবিল চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে দুই টেবিল চামচ হাইড্রোজেন পারক্সাইড মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাঁতে লাগান ও দুই মিনিটের জন্য হালকা করে ব্রাশ করুন।

এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। দাঁতের এনামেলের ক্ষতি এড়াতে ও ঝকঝকে হাসি বজায় রাখতে সপ্তাহে একবার বা দু’বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...