সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

শাহরুখ-গৌরীর প্রায় ৩০ বছরের দাম্পত্য জীবন। তাদের প্রেম কাহিনির তুলনা একমাত্র রূপকথার সঙ্গেই করা যায়। পাঞ্জাবি হিন্দু পরিবারের মেয়ে গৌরী ও মুসলিম পরিবারের ছেলে শাহরুখ। তবে ধর্ম কোনো দিনই তাদের ভালোবাসায় অন্তরায় হতে পারেনি। শাহরুখের বয়স তখন ২৬, গৌরীর সবে ২১-এ পা। ১৯৯১ সালের ২৫ অক্টোবর সাত পাকে বাঁধা পড়েন তারা। বিয়ের জন্য নিজের স্যুট কেনার পয়সা ছিল না শাহরুখের। ‘রাজু বন গ্যয়া জেন্টলম্যান’ ছবির কস্টিউম ডিজাইনারের কাছ থেকে স্যুট ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি। যখন বিয়ে করেন, তখন শাহরুখ তারকা ছিলেন না। মুম্বাইতে কাজের চেষ্টা করছেন। তবে ভাগ্যের চাকা ঘোরে, যশ চোপড়ার হাত ধরেই শাহরুখ যে হয়ে উঠলেন বলিউডের এক নম্বর নায়ক।
এত বছরের দাম্পত্য শাহরুখ-গৌরীর, কিন্তু একটা সময় ছিল গৌরী চেয়েছিলেন যাতে শাহরুখের সব ছবিই ফ্লপ হয়! কিন্তু স্বামীর ব্যর্থতা চাইতেন কেন? সেই কারণও জানালেন গৌরী।

শাহরুখ-গৌরী শুধুই স্বামী-স্ত্রী নন। এখন তারা বিজনেস পার্টনারও বটে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া শাহরুখের ‘জওয়ান’ ছবির প্রযোজক ছিলেন গৌরী। অতীতেও শাহরুখের ‘রা-ওয়ান’, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’, ‘ওম শান্তি ওম’ ছবির প্রযোজক ছিলেন অভিনেতার স্ত্রী। জীবনের ওঠাপড়ায় একে অপরকে সঙ্গ দিয়েছেন তারা। যদিও তাদের রসায়ন নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে বলিপাড়ায়, তবু তারা বলিউডের ‘হটেস্ট কাপল’। কিন্তু গৌরী চাননি, সিনেমা জগতে আসুন শাহরুখ। দিল্লির মেয়ে গৌরী, শাহরুখেরও বড় হয়ে ওঠা সেই শহরেই। তাই দিল্লি ছেড়ে যখন মুম্বাই চলে আসেন শাহরুখ, আপত্তি ছিল গৌরীর।

এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতার স্ত্রী বলেন, ‘আমি চাইনি ও মুম্বাই চলে যাক। আমি জানিও না ও কখন তারকা হয়ে গিয়েছে। আমি চাইতাম, শাহরুখের ছবি ফ্লপ করুক, তাহলে দিল্লি ফিরে যেতে পারব আবার। মাত্র ২১ বছর বয়সে আমার বিয়ে হয়েছিল। তখন সিনেমা বা কিভাবে কী হয়, এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। মনে হতো, সব ফ্লপ হয়ে যাক। আমি পালিয়ে যাব।’ তবে গৌরীর সেই মনের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। বরং যে শহরে কাজের খোঁজে এসেছিলেন এক সময়, সেই শহরের বাদশা হয়ে গেলেন শাহরুখ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *