ঋণখেলাপির কারণে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত গোল্ডেন সনের সাত জন উদ্যোক্তার প্রায় দেড় কোটি শেয়ার বাজেয়াপ্ত করেছে মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড। ফলে পরিচালকদের শেয়ার চলে যাবে মেঘনা ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে। আইন অনুযায়ী পরিচালকদের লিয়েন রাখা শেয়ার হস্তান্তরের অনুমোদন দিয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। খুব শিগগির মেঘনা ব্যাংকের বিও হিসেবে এই শেয়ার হস্তান্তর করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গোল্ডেন সনের সাত জন উদ্যোক্তা মিলে গঠন করেছে এমবিএম সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং কোম্পানি। কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনা করতে তাদের কাছে থাকা গোল্ডন সনের শেয়ার জামানত রেখে ঋণ নিয়েছিলো মেঘনা ব্যাংক থেকে। ব্যাংকের ঋণ সঠিক সময়ে পরিশোধ করতে না পারার কারণে তা খেলাপি হয়ে যায়। ফলে আইন অনুযায়ী ব্যাংক তা বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানিয়েছে ব্যাংক কৃর্তপক্ষ।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ব্যাংকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মেঘনা ব্যাংক থেকে ২০১৫ সালে দেওয়া ঋণ সুদসহ দাঁড়িয়েছে ৩৩ কোটি টাকা। এই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাদেরকে বাবরবার বলা হয়েছে, তারা দিচ্ছে না। ফলে আমরা তাদের শেয়ারগুলো বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, শেয়ার আমরা এখনই বিক্রি করবো না। ঋণ নেওয়ার সময় তারা শেয়ারগুলো জামানত হিসেবে রেখেছিলো। কিন্তু ঋণ অনিয়মিত হওয়া আমরা তা নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছি। তারা টাকা ফেরত দিলে আমরা আবার শেয়ার ফেরত দিয়ে দিবো।
এ বিষয়ে গোল্ডেন সনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল আহমেদ বলেন, করোনা মাহামারির সময় প্রতিকুল পরিস্থিতির কারণে আমরা ভালো ব্যবসা করতে পারিনি। অন্যদিকে ডলার সংকটের কারণে কঠিন সময় যাচ্ছে। এর মধ্যেও তাদেরকে কিছু টাকা ফেরত দিয়েছি। এখানে আমাদের কোন ঘাটতি ছিলো না। তার পরও তারা শেয়ারগুলো বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শেয়ার বাজেয়াপ্ত হওয়া উদ্যোক্তারা হলেন, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল আহমেদের ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০টি। বাকীদের মধ্যে হা মং চি এর ২৪ হাজার ৭৫০টি,টি লিন জু চিয়াং এর ৪০ লাখ ৩৫৪টি,টি লিন ওয়ান-ইয়ের ২৪ হাজার ৭৫০টি,লিন ওয়েন-ইয়ের ৩৯ লাখ ১৬ হাজার৯৩১টি, পেনমার্ক এক্সেসরিজের ১৩ লাখ ২০ হাজার ২৮৮টি এবং রনসন লিমিটেডের ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার ৮৮টি শেয়ার।