ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সংঘাত শুরুর পর প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা সদস্য নিহতের সংখ্যা প্রকাশ করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)।
আফগান সংবাদমাধ্যম খামা প্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) আইডিএফ প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা এবং এরপর গাজায় ইসরাইলে পাল্টা হামলা শুরুর পর দেশটির ৮৯১ জন সেনা নিহত হয়েছে। এই সংখ্যাটি গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলোও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরাইলি সেনাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও বেড়েছে। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাসহ ইসরাইলি একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ২৮ ইসরাইলি সেনা আত্মহত্যা করেছে। গত ১৩ বছরের মধ্যে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ।
প্রায় দেড় বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে একাধিক ফ্রন্টে যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরাইল। গাজা-লেবাননের পাশাপাশি সম্প্রতি ইয়েমেনের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। যুদ্ধে প্রতিপক্ষের গুলি-বোমায় নিহত হয়েছেন অনেক ইসরাইলি সেনা। এছাড়া যুদ্ধের মানসিক চাপ সইতে না পেরে আত্মহননের পথও বেছে নিয়েছেন কেউ কেউ।
এদিকে হামাস নিধনের নামে গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার একদিনে অন্তত ৩৪ দফা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে প্রাণ গেছে অন্তত ৭১ জনের।
এদিন গাজার গাজার আল মাওয়াসিসহ একটি সুরক্ষিত এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন।
এ নিয়ে গাজা যুদ্ধে সাড়ে ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।