নভেম্বর ৯, ২০২৪

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় ইতিমধ্যেই উপচে পড়া হাসপাতালে হাজার হাজার রোগীকে সরিয়ে নিতে বাধ্য করা ‘মৃত্যুদন্ডের সমান’ হতে পারে। ইসরায়েলে হামলার এক সপ্তাহ পর হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের স্থল অভিযানের আগে ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজা থেকে সরে যেতে সতর্ক করেছে।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ডব্লিউএইচও উত্তর গাজায় ২,০০০ এরও বেশি রোগীর চিকিৎসা করা ২২টি হাসপাতাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য ইসরায়েলের বারবার আদেশের তীব্র নিন্দা জানায়।’ খবর বাসস।

সংস্থা বলেছে, ‘রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়া বর্তমান মানবিক ও জনস্বাস্থ্য বিপর্যয়কে আরও খারাপ করবে।’
ডব্লিউএইচও বলেছে, ‘যেখানে স্বাস্থ্য সুবিধাগুলো ইতিমধ্যেই সর্বাধিক ক্ষমতায় চলছে এবং রোগীর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধিকে ধারণ করতে অক্ষম, এ অবস্থায় ২,০০০ রোগীকে দক্ষিণ গাজায় স্থানান্তরিত করা মৃত্যুদন্ডের সমান হতে পারে।’

অনেক গুরুতর অসুস্থ এবং ভঙ্গুর রোগীদের জীবন এখন ‘ভারসাম্যহীন’। নিবিড় পরিচর্যা বা লাইফ সাপোর্টের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের, ইনকিউবেটরে নবজাতক, হেমোডায়ালাইসিস করা রোগীদের এবং গর্ভাবস্থার জটিলতায় আক্রান্ত মহিলাদের কথা উল্লেখ করেছে সংস্থাটি ।

ডব্লিউএইচও বলেছে, তারা এবং অন্যরা ‘সবাই তাদের অবস্থার অবনতি বা মৃত্যুর মুখোমুখি হতে পারে যদি তাদের সরাতে বাধ্য করা হয় এবং সরিয়ে নেওয়ার সময় জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়।’

হামাস কমান্ডারদের বিরুদ্ধে স্থল অভিযানের আগে শনিবার নতুন করে বিমান হামলা চালিয়ে উত্তর গাজায় আঘাত হেনেছে ইসরাইল।

গাজায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ইতোমধ্যে ২,২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই ছিল বেসামরিক নাগরিক।

ডাব্লিউএইচও বলেছে, উত্তর গাজার স্বাস্থ্যকর্মীরা এখন গুরুতর অসুস্থ রোগীদের পরিত্যাগ করা, সাইটে অবস্থান করে তাদের নিজের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা বা তাদের দক্ষিণের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় তাদের রোগীদের জীবন বিপন্ন করার মধ্যে একটি চরম মানসিক ও শারীরিকভাবে ‘অ্যাগনাইজিং পছন্দের’ সম্মুখীন হচ্ছে। যা তাদের গ্রহণ করার ক্ষমতা নেই।

ডব্লিউউএইচও বলেছে, ‘অপ্রতিরোধ্যভাবে, স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীদের পাশে থাকাকে বেছে নিয়েছে এবং ‘কোন ক্ষতি না করার’ জন্য স্বাস্থ্য পেশাদার হিসাবে তাদের শপথকে সম্মান করেছে।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...