সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার আল আহলি হাসপাতাল হামলা নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করতে সেই হামলার সময়কার স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশের দাবি জানিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।

রাশিয়ার টেলিভিশন চ্যানেল রাশিয়া ওয়ানকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, ‘গাজার হাসপাতালে সম্প্রতি যে ভয়াবহ হামলা ঘটে গেল, তা নিয়ে সবাই কথা বলছে; কিন্তু এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে এই হামলার জন্য দায়ী আসলে কারা। সবাই এখানে একে অন্যকে (এই হামলার জন্য) দায়ী করছে।’

‘আমরা নিশ্চিত যে হামলার সময়ে ঘটনাস্থল, অর্থাৎ ওই হাসপাতাল ও তার আশপাশের এলাকার স্যাটেলাইট ছবি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রয়েছে। আমরা চাই— যুক্তরাষ্ট্র এই ছবি প্রকাশ করুক এবং এ সংক্রান্ত বিভ্রান্তি দূর হোক।’

গত ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর গাজা উপত্যকার আল আহলি আরব হাসপাতলে ভয়াবহ হামলা ও বিস্ফোরণে অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। সৌদি আরব, বাহরাইন, মিসর, তুরস্ক, জর্ডানসহ মধ্যপ্রাচ্য ও মুসলিম বিশ্বের প্রায় সব দেশ এই হামলার জন্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) দায়ী করেছে।

আবার যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা স্পষ্টভাবে বলেছে, এই হামলার জন্য ইসরায়েল বা আইডিএফ দায়ী নয়।

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই হামলার জন্য দায়ী কারা— তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখন পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস অভিযোগ—উপত্যকায় অভিযানরত ইসরায়েলি বিমানবাহিনী এই হামলার জন্য দায়ী। অন্যদিকে ইসরায়েল এই হামলার জন্য হামাস এবং তার মিত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদকে দায়ী করেছে।

তেমনি হামলার চার দিন পেরিয়ে গেলেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে রকেট না কি গোলা— ঠিক কী ছোড়া হয়েছিল হাসপাতালটিকে লক্ষ্য করে, যার জেরে ঘটল এত বড় বিস্ফোরণ।

ইরানের বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল- হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলকে স্যাটেলাইট ইমেজারি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত দু’সপ্তাহ ধরে গাজা ভূখণ্ডের ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছে অন্তত ২৭টি স্যাটেলাইট।

 

সূত্র : আরটি

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *