নভেম্বর ২৭, ২০২৪

ইসরায়েলি বাহিনী বিমান, স্থল এবং সমুদ্র থেকে ফিলিস্তিনি ছিটমহলে ভারী বোমাবর্ষণের কারণে গাজা উপত্যকায় ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘ এ কথা বলেছে।

শনিবার হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েলের পাল্টা বোমা হামলার পর থেকে ভয়ঙ্কর লড়াইয়ে উভয় পক্ষের হাজার হাজার লোক নিহত হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ মঙ্গলবার এক আপডেটে বলেছে, ‘গাজায় ২ লাখ ৬৩ হাজার ৯৩৪ জনেরও বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, ‘এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে’।

ইসরায়েলের ৭৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হামলায় দেশটির ১,০০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। এদিকে গাজার কর্মকর্তারা বলেছে, বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ৯০০ জন নিহত হয়েছেন।

ওসিএইচএ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলেছে, বোমা হামলায় ১,০০০ টিরও বেশি আবাসন ইউনিট ধ্বংস হয়েছে এবং এর মধ্যে ৫৬০টি এতটাই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে তারা বসবাসের অযোগ্য।

ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের সমর্থনকারী জাতিসংঘ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত ৮৮টি স্কুলে বাস্তুচ্যুদের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ জন আশ্রয় চেয়েছিল।

অন্য ১৪,৫০০ জনেরও বেশি ১২টি সরকারি স্কুলে পালিয়ে গিয়েছিল, ৭৪,০০০ এর কাছাকাছি লোক আত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের সাথে বা গির্জা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলিতে আশ্রয় খুঁজছিল বলে অনুমান করা হয়। খবর বাসস।

ইসরায়েল ইতোমধ্যে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ আরোপ করেছে, খাদ্য, পানি, জ্বালানী এবং বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছে। এই পদক্ষেপের ব্যাপারে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এটি ইতিমধ্যেই ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...