সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি মানবিক ত্রাণবাহী প্রথম ২০টি ট্রাককে গাজায় প্রবেশের সুযোগ দেয়ার জন্যে রাফাহ ক্রসিং খুলে দিতে সম্মত হয়েছেন।

ইসরাইল সফর শেষে ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকে আল সিসির সঙ্গে কথা বলার পর বুধবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি বলেন, তিনি সম্মত হয়েছেন। শুরুতে ২০ ট্রাক পর্যন্ত গাজায় ঢুকতে দিতে তিনি রাজি হয়েছেন।

তবে শুক্রবার পর্যন্ত এসব ট্রাক গাজায় ঢুকতে পারবে না। কারণ, সড়ক মেরামত করা লাগবে বলে বাইডেন উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসকে ত্রাণ বিতরণের অনুমতি দেয়া হবে না। তাই এই ২০ ট্রাক ত্রাণ দিয়ে পরীক্ষামূলক বিতরণ চালানো হবে।

এদিকে জাতিসংঘ গাজা সীমান্তে ত্রাণ বিতরণে প্রস্তুত বলে জানা গেছে।

বাইডেন বলেন, ত্রাণ পাঠানোর প্রথম কিস্তি হিসেবে এই ২০ ট্রাক পাঠানো হচ্ছে। মোট দেড়শো কিংবা আরো কিছু ত্রাণবাহী ট্রাক অপেক্ষমান। তবে এই ২০ ট্রাক ত্রাণের পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী ট্রাক গুলো পাঠানোর অনুমোদন দেয়া হবে।

জর্ডানে চতুর্থ পক্ষীয় বৈঠকে সিসির সাথে বাইডেনের বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু গাজায় হাসপাতালে ভয়াবহ হামলার প্রেক্ষিতে বৈঠকটি বাতিল করা হয়। এ প্রেক্ষিতে বাইডেন বিমান থেকে তার সাথে প্রায় আধা ঘন্টা কথা বলেন।

এদিকে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, গাজায় এখন যে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে, তাতে করে এ ২০ ট্রাক ত্রাণসহায়তা দিয়ে ন্যূনতম চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব নয়। কারণ, গাজার ১০ লাখ উদ্বাস্তুর জন্য এখন প্রতিদিন অন্তত ১০০ ট্রাক ত্রাণসহায়তার প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনী গোষ্ঠী হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন আকস্মিক হামলা চালায়। ওই দিনই বোমা হামলার পাশাপাশি গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে ইসরায়েল। দুই দিন পর পুরোপুরি গাজা অবরোধের ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েল সেখানে খাবার, পানি, ওষুধ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

গাজায় পাঠানোর জন্য ত্রাণের পণ্য নিয়ে শত শত ট্রাক কয়েক দিন ধরে মিসর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিংয়ে আটকে আছে। ইসরায়েল ওই সীমান্তেও বোমা হামলা চালিয়েছে। তারা এত দিন গাজায় কোনো ধরনের পণ্য ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল ছিল। যদিও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে গাজার শোচনীয় পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে সেখানে ত্রাণ পাঠানোর সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছিল।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দাদের উপত্যকা ছেড়ে পালানোর একমাত্র ভরসা এই রাফাহ ক্রসিং। ইসরায়েল গাজায় হামলা শুরুর পর শরণার্থী ঢলের আশঙ্কায় মিসর সীমান্তটি বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া সীমান্তটি দিয়ে মানুষ ও পণ্য পারাপারে ইসরায়েলের অনুমতি থাকতে হয়। সূত্র বাসস।

এদিকে গাজা থেকে বের হওয়ার আরও দুটি সীমান্তপথ থাকলেও সেগুলো ইসরায়েল সীমান্তে এবং তা এখন পুরোপুরি বন্ধ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *