নভেম্বর ২৯, ২০২৪

হামলার সময় ইসরায়েলের সঙ্গে আর কোনও ধরনের আলোচনা হবে না। এমন ঘোষণাই দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

এর আগে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাওয়ার পর মোসাদের দলকে কাতার থেকে ফিরে আসার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। ইসরায়েলের দাবি, আলোচনায় ‘অচলাবস্থা’ সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (৩ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর ডেপুটি প্রধান সালেহ আল-আরোরি আল জাজিরাকে বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত গাজায় হামলা অব্যাহত থাকবে ততক্ষণ কোনও ধরনের বন্দি বিনিময় হবে না।

তিনি বলেছেন, ‘এখন যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না। আগ্রাসন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং টেকসই ও নিশ্চিত যুদ্ধবিরতি না হওয়া পর্যন্ত বন্দি বিনিময়ও হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘দখলকারীরা (ইসরায়েল) জোর দিয়ে বলেছে- গাজায় এখনও নারী ও শিশুদের আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু আমরা বলেছি- আমরা তাদের সবাইকে হস্তান্তর করেছি। গাজায় আটক থাকা বাকি বন্দিরা সৈনিক এবং এমন বেসামরিক ব্যক্তি যারা দখলদার সেনাবাহিনীতে কাজ করেছে।’

সালেহ আল-আরোরি আল জাজিরা আরও বলেন, ‘আমাদের সমস্ত বন্দিকে মুক্তি না দেওয়া এবং যুদ্ধবিরতি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের হাতে আটক ইহুদিবাদী বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। স্থল যুদ্ধ, আকাশ বা অন্যান্য যুদ্ধে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মোকাবিলা করতে প্রতিরোধ দল প্রস্তুত।’

এর আগে যুদ্ধবিরতির আলোচনা করতে কাতারের রাজধানী দোহায় যাওয়া গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের দলকে ফিরে আসার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। দখলদার ইসরায়েল বলেছে, আলোচনায় ‘অচলাবস্থা’ সৃষ্টি হওয়ায় এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আলোচনায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় এবং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশনায় মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নেয়া দোহায় অবস্থানরত তার দলকে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তি সম্পন্ন করেনি। ওই চুক্তির মধ্যে ছিল তারা সকল নারী ও শিশু বন্দিদের ছেড়ে দেবে। এ সংক্রান্ত একটি তালিকা হামাসের কাছে দেওয়া হয়েছিল এবং এটি অনুমোদনও তারা দিয়েছিল।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...