গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চড়া মূল্য দিচ্ছে ইসরায়েল, বলেছেন দেশটির সেনাপ্রধান হারজি হালেভি। এক অনুষ্ঠান চলাকালীন কিছু প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। হালেভি আরও বলেন, গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা রোধ করতে সেনাবাহিনীর যে ব্যর্থতা, সে ব্যর্থতার দায়ভার তারই।
“৭ অক্টোবর ইসরায়েলের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ইসরায়েল নিরাপত্তা বাহিনী (আইডিএফ) ব্যর্থ হয়েছে, এ বাহিনীর প্রধান হিসেবে সে ব্যর্থতার দায়ভার আমার ওপরেও বর্তায়,” তিনি বলেন।
“আমিই সেই কমান্ডার যে আপনাদের সন্তানদের যুদ্ধে পাঠিয়েছে, যে যুদ্ধ থেকে তারা ফেরেনি, এবং এমন জায়গায় পাঠিয়েছে যেখানে তারা অপহরণের শিকার হয়েছে,” হালেভি আরও বলেন।
হালেভির এসব বক্তব্যের একদিন আগেই ইসরায়েলের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের কর্মকর্তা জেনারেল ইয়োরাম হামো পদত্যাগ করেন। গাজা নিয়ে ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। জানা গেছে, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে পদত্যাগ করেন তিনি।
শুধু হামো নয়, সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন ইসরায়েলের আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এর মাঝে রয়েছেন ইসরায়েলের ন্যাশনাল পাবলিক ডিপ্লোমেসি ডিরেক্টরেট প্রধান মোশিক আভিভ, এবং পাবলিক ডিপ্লোমেসি মিনিস্টার গালিট ডিস্টেল আটবারিয়ান। এছাড়া একটি টিভি প্রতিবেদনে দাবি করা হয় মুখপাত্র টোপাজ লুক, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের সিইও ইয়োসি শেলি, এবং নেতানিয়াহুর চিফ অব স্টাফ টাচি ব্রেভারম্যানও অচীরেই পদত্যাগ করবেন।
এ সবেরই শুরু ২২ এপ্রিল। সেদিন পদত্যাগ করেছিলেন ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান আরোহান হালিভা।
ইসরায়েলি মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেটের প্রধান হালিভার পদত্যাগের পর ইসরায়েলি সংবাদপত্র ইয়েডিয়োথ আহরোনথ মন্তব্য করেছিল, হালিভার পথ ধরে এক এক করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা পদত্যাগ করবেন।
এছাড়া গাজায় হামলা চালানোকারী বাহিনীর প্রধান, জেনারেল এলিয়েজার টোলেডানো গত ছয় মাসে জনসম্মুখে আসেননি, এমনটাও দাবি করেছে সংবাদপত্রটি। তারা বলেছে, এতসব পদত্যাগের কারণে ইতিমধ্যেই বেকায়দায় পড়েছেন সেনাপ্রধান হারজি হালেভি।