আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইলের নারকীয় তাণ্ডবে ফিলিস্তিনের গাজায় তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। উপত্যকাটিতে প্রতি ঘণ্টায় ৪ শিশুর মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস)। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনি শিশু দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পিআরসিএস বেশ কয়েকটি পোস্ট করেছে। এর মধ্যে একটি পোস্টে লেখা ছিল, ‘গাজায় প্রতি ঘণ্টায় ৪ শিশু নিহত হচ্ছে।’
আরেকটি পোস্টে লেখা হয়, ‘গাজায় ১০০০ শিশু তাদের হয় একটি বা উভয় পা হারিয়েছে।’ অপর একটি পোস্টে পিআরসিএস লিখেছে, ‘অনাহার ও পানিশূন্যতার কারণে গাজায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩১ শিশুর।’
গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের চিকিৎসকেরা নানা আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন। তারা সতর্ক করে বলেছেন, খুবই সীমিত সরবরাহ দিয়েই হাসপাতালে তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে এমন শিশু এবং নবজাতকদের চিকিৎসা করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরাইলকে কাঠগড়ায় তুলতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত ছয় মাস ধরে গাজা উপত্যকায় সংঘটিত সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইসরাইলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ২৮টি দেশ, আর ১৩টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানিসহ ছয়টি দেশ রেজ্যুলেশনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।
প্রস্তাবে ইসরাইলের কাছে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি, হস্তান্তর বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ৭৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরাইলের টানা ছয় মাস ধরে চলা এই হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।