ইসরায়েলি হামলার পর গাজায় ফিলিস্তিনি পার্লামেন্টের সদর দপ্তরের অবশিষ্টাংশ দেখা যাচ্ছে। ছবিটি গত ২৫ নভেম্বর তোলা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৬ হাজারেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও চার হাজার।
মূলত গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি চললেও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় নিহত ১৫ হাজার ছাড়াল। এছাড়া গাজায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৭ হাজার মানুষ। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে ভূখণ্ডটির হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে।
গাজার মিডিয়া অফিসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, গাজার রাস্তা এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও মৃতদেহ উদ্ধারের পর অঞ্চলটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।
তিনি বলেছেন, নিহতদের মধ্যে ৬ হাজার ১৫০ জনের বেশি শিশু এবং ৪ হাজার নারীও রয়েছেন।
ওই মুখপাত্র আরও বলেছেন, গাজায় এখনও ৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হয় ধ্বংসস্তূপের নিচে আছেন বা তাদের ভাগ্য ঠিক কী ঘটেছে তা এখনও অজানা। নিখোঁজ এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৪ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি নারী ও শিশু।
উল্লেখ্য, গাজায় বর্তমানে যুদ্ধবিরতি চলছে। দেড় মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধ চলার পর গত শুক্রবার চারদিনের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায় হামাস ও ইসরায়েল।
চুক্তি অনুযায়ী, হামাস ইতোমধ্যেই ৫০ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে। সোমবার ছিল এই চুক্তির শেষ দিন।
যদিও ইসরায়েল হুমকি দিয়ে এসেছে, যুদ্ধবিরতি শেষ হলেই তারা আবারও গাজায় হামলা চালানো শুরু করবে। তবে শেষমুহূর্তে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দু’দিনের জন্য বাড়ানো হয়।