আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল কলকাতা। গতকাল রাতে ‘মধ্যরাত দখল’ কর্মসূচি দিয়েছিলেন নারীরা। এ ডাকে সাড়া দিয়ে মধ্যরাতে রাজপথে নেমেছিলেন কলকাতাবাসী। মানুষের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ঘুমন্ত কলকাতা জেগে উঠেছিল। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কলকাতার অভিনয়শিল্পীরাও অংশ নেন তাতে।
ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী সৌরসেনী মৈত্রও মধ্যরাতে রাজপথে নেমেছিলেন। মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। তা না হলে এরকম স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন পাওয়া যেত না। এই লড়াইটা আর শুধু ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটা এখন মানুষের লড়াই হয়ে গিয়েছে।’
নারীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। তারই বর্হিপ্রকাশ মধ্যরাতের মিছিল। এ বিষয়ে সৌরসেনী বলেন, ‘ঘটনা নিয়ে সিনেমা হয়। সেই সিনেমা আমরা হলে দেখতে যাই। তারপর ভুলেও যাই! কিন্তু এবার আর ভুলতে দেওয়া যাবে না। এবার নারী নির্যাতন বন্ধ করতেই হবে।’
সৌরসেনী জানান, ‘রাত দখল’ কর্মসূচি এক দিনের প্রতিবাদ নয়। এটা সিঁড়ির প্রথম ধাপ। তা হলে এরপর কী? এ প্রশ্নের জবাবে সৌরসেনী বলেন, ‘আজ গলা তুলেছি, কাল-পরশুও গলা তুলে বলব। যত দিন না থামবে, চুপ থাকব না। আর গলায় কাজ না হলে প্রয়োজনে হাতও তুলব!’
আরজি কর-কাণ্ডে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। আর তা যেন লোকচক্ষুর সামনে হয়। এ দাবি উল্লেখ করে সৌরসেনী বলেন, ‘নিজের কর্মস্থলে একটি মেয়ে যদি সুরক্ষিত না থাকতে পারে, তা হলে সমাজের নারীরা কোথায় সুরক্ষিত?’
সমাজে প্রতিনিয়ত নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অথচ তা প্রকাশ্যে আসে না। এ বিষয়ে সৌরসেনী বলেন, ‘মিছিলে আসা ১০ জন নারীকে জিজ্ঞাসা করা হলে জানা যাবে, তারা জীবনের কোনো না কোনো সময়ে হেনস্থার শিকার হয়েছেন।’
আরজি কর-কাণ্ডে দোষীদের দ্রুত শাস্তি দাবি করে সৌরসেনী বলেন, ‘আরজি কর হাসপাতালের সংস্কারের কাজের চেয়ে এখন এই সমাজের দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।’