সৌদি আরব ২০২১ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত খেলাধুলা সংক্রান্ত চুক্তিতে কমপক্ষে ৬৩০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। এটি আগের ছয় বছরের সময়কালে ব্যয় করা অর্থের চারগুণ বেশি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণ অনুসারে, সৌদি আরব গত আড়াই বছরে তার সরকারি বিনিয়োগ তহবিল থেকে শত শত কোটি ডলার খেলাধুলা খাতে ব্যয় করেছে। বিপুল পরিমাণ এই ব্যয় পেশাদার গল্ফকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে এবং ফুটবলের আন্তর্জাতিক স্থানান্তর বাজারকে বদলে দিয়েছে।
সোমবার সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ফ্রান্সের জাতীয় দলের অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পেকে পেতে ৩০ কোটি ডলারের প্রস্তাব দিয়েছে। কোনো খেলোয়াড়ের জন্য এই দর রীতিমতো বিশ্ব রেকর্ড।
সৌদি আরবের এই ৬৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ মন্টিনিগ্রো বা বার্বাডোস দ্বীপের জিডিপির সমতুল্য। দুই বছর আগে মানবাধিকার সংগঠন গ্রান্ট লিবার্টির সংগৃহীত তথ্য অনুসারে, ২০১৪ থেকে ২০২১ সালের প্রথম দিকের সময়কালে সৌদি আরব খেলাধুলা খাতে ১৫০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে।
গ্রান্ট লিবার্টি, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটসের মতো মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই ধরনের ব্যয়কে ‘স্পোর্টসওয়াশিং’ আখ্যা দিয়েছেন। এর অর্থ হচ্ছে, মানবাধিকারের খারাপ রেকর্ড থেকে চোখ ঘুরিয়ে নেওয়ার জন্য খেলাধুলার বড় ইভেন্টগুলোতে বিনিয়োগ করা।
গ্রান্ট লিবার্টি বলেছে, ‘আগে, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এবং ব্র্যান্ডগুলোসৌদি আরবের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতো দেশটির নথিভুক্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে। তবে হালে নৈতিক অবস্থানে একটি উদ্বেগজনক পরিবর্তন হয়েছে। চলমান এবং অবনতিশীল লঙ্ঘন সত্ত্বেও লাভজনক চুক্তি এখন গ্রহণ করা হচ্ছে।’