জানুয়ারি ৩, ২০২৫

চিকিৎসায় বাধা ও মারধরের অভিযোগে ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে খুলনার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার বাসিন্দা আসমা বেগম। আদালতের বিচারক ফরিদুজ্জামান মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন- খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রিজন সেলের এসআই বিভূতি ভূষণ ভৌমিক, কনস্টেবল হিরো আহমেদ, কনস্টেবল সাহাব্বার ও কনস্টেবল সজল।

মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে তার ভাগ্নি জামাই হাসানুজ্জামান আকাশ নগরীর মিয়াপাড়া বন্ধনের মোড়ে সন্ত্রাসীর গুলিতে আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরদিন ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোনো মামলা না থাকার পরও হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা এসআই বিভূতী ভূষণ আহত আকাশকে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করে। সেখানে তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। গত ১৫ ডিসেম্বর অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা দ্রুত তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।

তখন আসমা বেগম (হাসানুজ্জামানের স্ত্রী) এসআই বিভূতী ভূষণকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনাদের বারবার বলা সত্ত্বেও আকাশকে প্রিজন সেলে আটকে রেখে মৃত্যুর কাছাকাছি নিয়ে গেছেন, কোনো চিকিৎসা দেননি। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গ এসআই বিভূতি ভূষণ ও কনস্টেবল সজল আসমা বেগমকে গালিগালাজ ও ধমক দিতে থাকে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের উত্তেজিত হতে নিষেধ করলে পুলিশ সদস্য হিরো আহম্মেদ এবং সাহাব্বার তাদের গলা ধাক্কা দিয়ে অপারেশন থিয়েটারের সামনে থেকে সরিয়ে দেয়। এমন অবস্থায় আসমা বেগম এসআই বিভূতি ভূষণকে বলেন আমার জামাইকে কি মেরে ফেলবেন। না পারলে আমাদের কাছে দেন আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। এ কথা শোনামাত্র এসআই উত্তেজিত হয়ে তাকে চড় মারতে থাকে। তখন তিনি চিৎকার করলে তাকে বেতের লাঠি দিয়ে আঘাত করলে মাথার ডান পাশ কেটে যায়, পরে মাথায় ৩টি সেলাই দেওয়া হয়।

বাদীর আইনজীবী বি এম ফারুখ বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মামলাটি গ্রহণ করেছেন। তিনি ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য খুলনা পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৩ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...