জানুয়ারি ২১, ২০২৫

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার সঙ্গে আরও সাতজনের বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তা, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন উপপরিচালক সাহেদুর রহমান আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় আগামী ২৯ জানুয়ারি বাকি সাক্ষ্য ও জেরা হবে।

এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তার পক্ষ থেকে জাকির হোসেন ভূঁইয়া হাজিরা দাখিল করেন। এ পর্যন্ত মামলার ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়া ও আরও চারজনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে, ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়, যাতে তাদের বিরুদ্ধে কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।

২০২৩ সালের ১৯ মার্চ, আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া, এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

চার্জশিটভুক্ত তিন আসামি, যারা মারা গেছেন, তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন: তৎকালীন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, এবং বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...