নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হলেন নাজমুল হাসান পাপন। এমন খবরের পর সবার মাঝে প্রশ্ন জাগে তাহলে নতুন বিসিবি সভাপতি হবেন কে? সরকারের মন্ত্রী হলে বিসিবি সভাপতি থাকতে পারবেন না এমন কোনো নিয়ম নেই সাংবিধানিক ও গঠনতন্ত্রে। তাতে পাপনেরও সভাপতি হিসেবে থাকতে কোনো বাধা নেই। বছর দুয়েক মেয়াদ থাকলেও চলতি বছরই বিসিবির দায়িত্ব ছাড়তে চান তিনি।
কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন পাপন। টানা কয়েকবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে যাওয়া পাপন এবার সুযোগ পাচ্ছেন সরকারের মন্ত্রী হওয়ার। সেটির জন্য ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ফোন পেয়েছেন বিসিবি সভাপতি। এদিকে লম্বা সময় ধরেই বিসিবির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। মন্ত্রী হওয়ায় অনেকের মাঝে প্রশ্ন উঠছে বিসিবির দায়িত্বে পাপন থাকতে পারবেন কিনা।
নিয়ম অনুযায়ী, পাপনের বিসিবি সভাপতি হিসেবে থাকতে খুব বেশি সমস্যা নেই। সেটি মনে করিয়ে দিয়েছেন পাপন নিজেই। হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের সরকারের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিসিবির দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৯৬ সালে নৌ পরিবহন উপমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরিও বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। তাতে করে পাপনের বিসিবি সভাপতি হিসেবে থাকতে খুব বেশি জটিলতা নেই।
তবুও নিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে দায়িত্ব ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন পাপন। ২০২১ সালের অক্টোবরে সভাপতি নির্বাচিত হওয়া পাপনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের অক্টোবরে। তাতে করে এখনও প্রায় দুই বছর মেয়াদ আছে তার। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে বিসিবির দায়িত্ব ছাড়ার সঙ্গে এটির কোনো সম্পর্ক নেই। আগেও আমাদের অনেক মন্ত্রী ছিলেন যারা কিনা বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, বিদেশেও আছে। সেটা ইস্যু না। আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল এবারই আমার লাস্ট টার্ম। টার্মটা আবার সামনের বছর। আমি চেষ্টা করব এই বছরই টার্মটা শেষ করা যায় কিনা।’
দায়িত্ব ছাড়ার কথা বললেও আছে যদি কিন্তু। জয় শাহ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি হওয়ার আগে এই দায়িত্বে ছিলেন পাপন। এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আইসিসির আবার কিছু নিয়ম কানুন আছে। ওদের বেশ কিছু কমিটিতে আছি, চেয়ারম্যানও আছি ওরা আবার এটা চেঞ্জ করে না। নতুন কেউ গেলে তারা এটা দেয় না। শ্রীলঙ্কাতে দেখেছেন। ওদের টার্মটা শেষ করতে হবে। আমার ধারণা সামনের বছর তো এমনিই করতাম চেষ্টা করব এ বছর শেষ করা যায় কিনা।’