সময়টা ভালো যাচ্ছে না জাতীয় দলের এক সময়কার তারকা ক্রিকেটার নাসির হোসেনের। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় জাতীয় দলের বাইরে টাইগার অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। এবার তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা-আইসিসি।
আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আইসিসি তাদের এক প্রতিবেদনে এমেরেটস ক্রিকেট বোর্ডর (ইসিবি) পক্ষে খেলোয়াড় ও অফিশিয়াল মিলিয়ে আট জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসিরের বিরুদ্ধে তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে।
নাসিরের বিরুদ্ধে অভিযোগটি মূলত ২০২১ সালের। ওই বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি টি-১০ লিগে খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে সন্দেহভাজন ব্যক্তির থেকে উপহার নিয়েছেন এমন অভিযোগ এনেছে ইসিবি।
তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২.৪.৩ ধারায় দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে (ডিএসিও) ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থ মূল্যের উপহার নেওয়ার বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
২.৪.৪ ধারায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে দুর্নীতি বা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কোনো প্রস্তাব তিনি পেয়েছিলেন কিনা, তাকে কোনভাবে প্ররোচিত করা হয়েছিল কিনা তা পরিষ্কার করে বিস্তারিত জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
২.৪.৬ ধারায় তিনি সম্ভাব্য দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন এমন তদন্তের বিষয়ে দুর্নীতির তদন্তে থাকা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন বা তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
২০২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজিত টি-১০ লিগের আসরটিতে অভিযুক্ত বাকি ৭ জনের মধ্যে দুজন টিমের সহ-স্বত্বধিকারী, দুজন কোচ, দুজন স্থানীয় ক্রিকেটার ও একজন টিম ম্যানেজার ছিলেন। তারা হলেন-কৃষ্ণ কুমার চৌধুরী (একটি দলের সহ-স্বত্বাধিকারী), পরগ সাংভি (একটি দলের সহ-স্বত্বাধিকারী), আজহার জাইদি (ব্যাটিং কোচ), রিজওয়ান জাভেদ (স্থানীয় ক্রিকেটার), সালিয়া সামান (স্থানীয় ক্রিকেটার), সানি দিলন (সহকারী কোচ) ও শাদাব আহমেদ (টিম ম্যানেজার)।আট জনের মধ্যে কৃষ্ণ কুমার, পরগ, আজহার, রিজওয়ান, সালিয়া ও সানিকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া নিজেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য সবাইকে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে ১৪ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে আইসিসি। এর মধ্যে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে না পারলে সবাইকে পড়তে হতে পারে কঠিন শাস্তির মুখে।