ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। আর কোরবানির ঈদে গরু কিংবা খাসির মাংসের বেশ বড় একটা অংশ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়।

আর এ কোরবানির মাংস হক অনুযায়ী সবাইকে পৌঁছে দেওয়ার পর নিজেদের ভাগের মাংস পরবর্তীতে খাওয়ার জন্য সংরক্ষণ করেন অনেকেই।

তবে সঠিক উপায় না জেনে টাটকা মাংস সংরক্ষণ করলে দীর্ঘদিন তা ভালো নাও থাকতে পারে এবং মাংসের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই ফ্রিজে মাংস রাখার আগে কিছু বিষয় জেনে নেয়া জরুরি।

(১) কটি সাধারণ ভুল হলো মাংসের বড় অংশ একসঙ্গে ফ্রিজারে রাখা। এতে হিমায়িত হওয়ার পাশাপাশি ডিফ্রস্ট করাও বেশ ঝামেলাপূর্ণ হয়ে যায়। বারবার ভিজিয়ে রেখে ডিফ্রস্ট করার কারণে মাংসের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। এমন পরিমাণে মাংস এক ব্যাগে রাখুন যেটা ডিফ্রস্ট করে রান্না করে ফেলবেন সঙ্গে সঙ্গে।

(২) ফ্রিজারের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি ফারেনহাইটে আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। এতে মাংসের পৃষ্ঠের সঙ্গে বড় বরফের স্ফটিক গঠিত হবে না। বড় আকৃতির বরফে মাংস আচ্ছাদিত হয়ে গেলে পরবর্তীতে মাংস শুকিয়ে যায় দ্রুত।

(৩) মাংসে চর্বির পরিমাণ যত কম হবে তত বেশিদিন সংরক্ষণ করা যাবে। তাই, মাংসের গায়ে লেগে থাকা চর্বিগুলো কেটে ফেলে দিন। এতে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমবে। মাংস কাটার দিকেও নজর দিতে হবে। মাংস বাসায় এনে চেষ্টা করুন ছোট ছোট স্লাইস করে রাখার। তা সম্ভব না হলে হাড় থেকে ছাড়িয়ে ছোট টুকরা করে ভালো করে ধুয়ে রাখুন।

(৪) মাংস রাখার আগে ফ্রিজের প্রতিটি চেম্বার বা ড্রয়ার ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। শুধু মাংস ফ্রিজে ফেলে রাখা যাবে না। এতে করে ফ্রিজের অন্যান্য খাবারের সঙ্গে ক্রস কনটামিনেশন ঘটতে পারে। এভাবে ফেলে রাখতে পরবর্তীতে মাংস বের করতেও সমস্যা হব
(৫) ধুয়ে সংরক্ষণ করতে না চাইলে শুকনো কাপড় দিয়ে মাংসের রক্ত পরিষ্কার করে ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন।

(৬) ফ্রিজার বার্ন রোধে জিপলক ব্যাগের পাশাপাশি অতিরিক্ত এক লেয়ারের পাতলা প্লাস্টিক অথবা ফয়েল পেপার ব্যবহার করতে পারেন।

(৭) মাংস সংরক্ষণের সময় প্যাকেটের গায়ে সংরক্ষণের তারিখ এবং গরু না খাসি সেটা লিখে রাখতে পারেন। এতে পরবর্তীতে চিনতে সমস্যা না হয় না

(৮) মাংস রাখার পর ঘন ঘন ফ্রিজের দরজা খুলবেন না। পাশাপাশি সঠিকভাবে দরজা বন্ধ করাও জরুরি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...