আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ পরিহার করা দরকার। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন। উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমরা মনে করি উচ্চ আদালত বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে রায় দেবেন।’
আজ সোমবার (৮ জুলাই) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এছাড়াও সরকার কোটা বাতিলের পক্ষে আন্তরিক বলেই অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সরকার ২০১৮ সালে পরিপত্র জারি করে কোটা বাতিল করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, গত জুনে ৭ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আদালতে গেলে কোটা পুর্নবহাল করেন আদালত। এটা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত মানুষের ভোগান্তি করে রাস্তাঘাট বন্ধ করার পথ পরিহার করা উচিত। আশা করি, দেশের বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে রায় দেবেন আদালত।
‘এর আগেও যে কোটা আন্দোলন হয়েছিল, সেখানে ৩১ জন নেতা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি’, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
কোটা আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে রাজনৈতিক ইস্যু যুক্ত হয়েছে। বিএনপি এই আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। তারা (বিএনপি) সাপোর্ট করেছে। সাপোর্ট করা মানেই যুক্ত হয়ে যাওয়া। কারা যুক্ত হয়েছে, কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ কী না, সব কিছু সময় বলে দেবে।’
এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুরসহ অনেকে।