আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়ায় গেছেন। শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টায় তিনি টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌঁছান।
সেখানে তিনি স্থানীয় সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাহ উদ্দিন ও শেখ তন্ময় তাঁর সঙ্গে রয়েছেন।
টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে কিছুটা ভিন্নতা দেখা গেছে তার গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে। স্বাভাবিক সময়ে সরকারি গাড়ি থাকলেও, এবারের সফরে শেখ হাসিনাকে তার ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করতে দেখা গেছে৷ অন্য সময়ে সরকারি সুবিধা থাকলেও, এবার তার গাড়িতে কোনো জাতীয় পতাকাও ছিলো না৷
এর আগে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ বাসভবনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে বৈঠক করেন। সেখানে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। জনগণের দোরগোড়ায় যেতে হবে এবং সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরতে হবে।
কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো অবস্থাতেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেয়া যাবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে দুদিনের সফরে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান। তারপর তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ শেখ হাসিনা ফাতেহা পাঠ করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন।
এদিন নিজ বাড়িতে রাতযাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর শুক্রবার সকালে তিনি নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় যান। সেখানে এখন উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেতাকর্মীর সঙ্গে তার পূর্ব নির্ধারিত মতবিনিময় কর্মসূচিতে অংশ নেন। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেলেই সড়কপথে শেখ হাসিনার ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।