

ইসরায়েলি মালিকানার একটি পণ্যবাহী জাহাজ ছিনতাইয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে ইসরায়েলের অন্য একটি জাহাজ। কন্টেনারবাহী ওই জাহাজটিতে চালানো হয়েছে ড্রোন হামলা। তবে তাতে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে এ ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইসরায়েলের জাহাজ ব্যবসায় স্বস্তি অনেকটাই উবে গেছে। আগামী দিনে অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলতে হবে দেশটির সাথে সম্পর্কিত জাহাজগুলোকে। কারণ যে কোনো সময় এসব জাহাজ বিপদে পড়তে পারে।
ইসরাইলে ফিলিস্তিনীদের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলা এবং তার প্রেক্ষিতে গাজায় ইসরায়েলের চালানো গণহত্যার আবহের মধ্যে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কিত দুটি জাহাজে হামলা হয়েছে। আর এ দুটি ঘটনা একটি সম্ভাব্য আঞ্চলিক যুদ্ধের আশংকার দিকে ইঙ্গিত করছে।
খবর এপি ও আলজাজিরার।
খবর অনুসারে, সিএমএ সিজিএম নামের জাহাজটি শুক্রবার ভারত মহাসাগরে ড্রোন হামলার শিকার হয়। জাজাজটির মালিকা ইসরায়েলের একজন বিলিয়নিয়ার। এটি মাল্টার পতাকাবাহী। আর পরিচালনার দায়িত্বে আছে ফ্রান্সের একটি কোম্পানি।
ইসরায়েলের ওই জাহাজটিতে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে তা এখনো কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের সন্দেহ ইরান তার শাহেদ ড্রোনের মাধ্যমে জাহাজটিতে হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।
তবে ইরানের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। সেদিনই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ হামলায় গাজায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজায় হামলা বন্ধের দাবিতে লেবাননে অবস্থিত মিলিশিয়া দল হেজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে হুতিরা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কিত একটি জাহাজ ছিনতাই করে ইয়েমেনে নিয়ে যায়। জাহাজটির ক্রুদের মুক্তির জন্য জাপানসহ বিভিন্ন দেশ হুতিদের সাথে আলোচনার চেষ্টা চালাচ্ছে। তার মধ্যেই নতুন করে ইসরায়েলের অন্য একটি জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটল।