সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে বিশ্বজুড়ে মেয়েদের অমিত সম্ভাবনা ও সক্ষমতার উপযাপনে নিজেদের বৈশ্বিক সাসটেইনিবিলিটি অংশীদার প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন।

নেতৃত্ব দান এবং বিভিন্ন শিল্পখাত সম্পর্কে গভীরভাবে জানার সুযোগ তৈরির মাধ্যমে মেয়েদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের অনুপ্রাণিত করে তোলাই ছিল এ উদ্যোগ গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য।অনুপ্রেরণাদায়ক এ আয়োজনের অংশ হিসেবে গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় জিপিহাউজে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী হিসেবে প্রতীকী দায়িত্ব পালনের সুযোগ পায় ঢাকার উপকণ্ঠ থেকে উঠে আসা ১৭ বছর বয়সী কিশোরী মালেকা।

বিশ্বব্যাপী প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উল্লেখযোগ্য এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। দেশজুড়ে ব্যবসা, গণমাধ্যম, প্রযুক্তি ও রাজনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চতর পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ তৈরির মাধ্যমে নারীদের অমিত সম্ভাবনার উদযাপন এবং স্বীকৃতি দেওয়াই এ ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য।

গ্রামীণফোনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব গ্রহণের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত মালেকা বলেন, “নতুন এ দায়িত্ব গ্রহণের অভিজ্ঞতা আমার আত্মবিশ্বাস এবং জ্ঞান বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি আমার কমিউনিটির অন্য মেয়েদের আমার অভিজ্ঞতা এবং কী শিখলাম তা জানাবো, যাতে তারাও সমাজের শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থানের উচ্চাকাঙ্খা ধরে রাখে। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ও গ্রামীণফোনের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত এই অনন্য অভিজ্ঞতার অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত এবং সম্মানিত। আমাদের অবশ্যই এই বিশ্বাস ধরে রাখতে হবে যে, বিশ্বকে নেতৃত্বদানের, উদ্ভাবনের এবং ইতিবাচক পরিবর্তন তৈরির পূর্ণ সম্ভাবনা আমাদের মধ্যে রয়েছে।”

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, “আমাদের অংশীদার প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় গার্লস টেকওভার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতাটি দারুণ ছিল। আমরা বিশ্বাস করি, লৈঙ্গিক পরিচয় কখনওই সাফল্যের পথে বাধা হওয়া উচিত নয় এবং এ ব্যাপারে সচেতনতা ও ইতিবাচকতা তৈরিতে এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করার ক্ষেত্রে আমরা ভূমিকা রাখতে আগ্রহী, যাতে নারীরা এগিয়ে যেতে পারেন এবং সক্ষমতা অনুযায়ী নেতৃত্বদায়ক অবস্থান অর্জন করতে পারেন। এ ধরনের উদ্যোগ ইতিবাচক আলোচনার সুযোগ তৈরি করে এবং পরিবর্তন বয়ে আনে।”

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (পিআইবি) পলিসি, অ্যাডভোকেসি, ইনফ্লুয়েন্সিং অ্যান্ড ক্যাম্পেইনের পরিচালক নিশাত সুলতানা বলেন, “গার্লস টেকওভারের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতের নেতৃত্বের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখি এবং একসাথে আমরা নতুন করে ভবিষ্যৎ রচনা করছি। আসুন, আমরা তাদের সমর্থন দেই, তাদের প্রত্যাশা ও আওয়াজকে আরও জোরালো করি’ কেননা, যখন মেয়েরা নেতৃত্ব দেয়, তখন গোটা বিশ্ব সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠে। আসুন, আমরা প্রতিটি মেয়ের সীমাহীন সম্ভাবনাকে উদযাপন করি এবং এমন একটি বিশ্ব তৈরিতে একসাথে কাজ করি, যেখানে তারা উন্নতি করতে পারে, নেতৃত্ব দিতে পারে এবং অনুপ্রাণিত করতে পারে।”

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে গ্রামীণফোন। একই প্রতিশ্রুতি তাদের অভ্যন্তরীণ কাজের ক্ষেত্রেও প্রতিফলিত হয় – প্রতিষ্ঠানটি লিঙ্গ ভারসাম্য নিশ্চিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। একটি কাঠামোবদ্ধ পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম পরিচালনা করে – কার্যকরী পরিকল্পনায় গুরুত্বারোপ করে, বিস্তৃতভাবে নারী কর্মী নিয়োগ দেয়; পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠানটি সম্ভাবনায় নারী কর্মীদের বিকাশে নেক্সট বিজনেস লিডারস, প্ল্যাটফর্ম শি এবং জিপি অ্যাকাডেমির মতো প্রোগ্রাম আয়োজন করে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *