কিরগিস্তানের প্রায় সাড়ে ৬ শ’ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এখন উদ্বেগ-উৎকন্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকেই দেশে ফিরে আসছেন।
আবার অনেকেই বিশেষ ফ্লাইটে ফিরিয়ে নেয়ার দাবি করেছেন।
কিরগিস্তানের চলমান সহিংসতায় প্রেক্ষিতে অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এখন সে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন।
আবার কেউ কেউ পার্শ্ববর্তী দেশে গিয়েও আশ্রয় নিচ্ছেন। আবার অনেকেই খুব প্রয়োজন না হলে, ঘর হতে বের হচ্ছেন না। এই অবস্থার মধ্যেই উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে সেখানে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কিরগিস্তানের রয়েল মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি রোববার (১৯ মে) বাংলানিউজকে বলেন, এখানের প্রায় সাড়ে ৬ শ শিক্ষার্থী এখন উদ্বেগ উতকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন।
অনেকেই দেশে ফিরে গেছেন। আবার কেউ কেউ পাশের দেশে আশ্রয় নিচ্ছেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য একটি চার্টার্ড বা বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হলে অনেকেই সহজেই দেশে ফিরতে পারবেন।
আসাদুল ইসলাম আরো জানান, জুন মাসে অনেক শিক্ষার্থীর সেশন শেষ হয়ে যায়। সে কারণে অনেক শিক্ষার্থীরই ফ্লাইটের টিকিট কাটা রয়েছে। তারা সেভাবেই দেশে ফিরবেন। তিনি আরো জানান, এখানে আসা নতুন শিক্ষার্থীরাই বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তারা এখনই দেশে ফিরতে চান। তাদের অনেকেই দেশে ফিরেও গেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রোববার জানিয়েছেন, কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ছাত্রদের ওপর হামলা হয়েছে। তবে কেউই গুরুতর আহত হননি কেউ। আমাদের গভীর উদ্বেগ আমরা কিরগিজস্তানকে জানিয়েছি। উজবেকিস্তানে আমাদের রাষ্ট্রদূতকে সেখানে যেতে বলেছি।
সূত্র জানায়, গত ১৩ মে মিশরীয় কয়েকজন মেডিকেল শিক্ষার্থীর সঙ্গে স্থানীয় কিরগিজদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ প্রেক্ষিতে স্থানীয়রা বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা শুরু করে। এখন বাংলাদেশি, ভারতীয় ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার খবর পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, কিরগিজস্তানে স্থানীয় সংঘাতের কারণে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। তবে কিরগিস্তানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কিরগিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে