সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

ভিসা ও মাস্টারকার্ডের মতো আন্তর্জাতিক কার্ডের ওপর নির্ভরতা কমাতে ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে ‘টাকা পে’ নামে দেশে এই প্রথম নিজস্ব কার্ড চালু হতে যাচ্ছে। আগামীকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে এই কার্ড উদ্বোধনের পর তা চালু হবে।

পেমেন্ট নেটওয়ার্ক ভিসা ও মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে টাকার ইলেক্ট্রনিক স্থানান্তর করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রিপেইড কার্ডের জন্য ব্র্যান্ডেড পেমেন্ট প্রসেসিং পরিষেবা দেয় যা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকদের অফার দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ’র ব্যবহারের মাধ্যমে ‘টাকা পে’ জাতীয়ভাবে   একই সেবা দেবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিনসহ কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ও বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ব্যাংক ‘টাকা পে’ কার্ড ইস্যু করতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

শিগগিরই অন্যান্য ব্যাংকগুলোও এই কার্ড গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।

এই কার্ডটি প্রাথমিকভাবে দেশে ব্যবহারের জন্য চালু করা হচ্ছে। পরে এর ব্যবহার প্রতিবেশী ভারতে সম্প্রসারণ করা হবে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এটি একটি স্বাধীন কার্ড হবে। বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এটি অত্যন্ত অপরিহার্য।

গত ১৮ জুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার প্রথমবারের মতো ‘টাকা পে’ চালুর ইঙ্গিত দিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুই কমিটি এটি চালুর জন্য কাজ করে।

কমিটিতে ব্র্যাক ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রতিনিধিরা আছেন।

প্রাথমিকভাবে এসব ব্যাংক পাইলটভিত্তিতে ‘টাকা পে’ ইস্যু করবে।

প্যারিসভিত্তিক কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান ‘ফাইম’ কার্ডটি তৈরি করেছে।

প্রতিবেশী যেসব দেশের এমন নিজস্ব কার্ড আছে সেগুলো হলো—ভারত (রুপে), পাকিস্তান (পাকপে), শ্রীলঙ্কা (লংকাপে) ও সৌদি আরব (মাদা)।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *