কারিগরি ত্রুটি নয়, যাত্রীদের বিশৃঙ্খলার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিলো বলে জানিয়েছে মেট্রোরেলের নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সরকারি কোম্পানি ডিএমটিসিএল। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। এর মধ্যেই পৌনে ৫টার দিকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ইফতারের আগে বৃষ্টির মধ্যে হাজার হাজার যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পরে বিকেল ৫টা ১৯ মিনিটের দিকে আবারও স্বাভাবিক হয় মেট্রোরেলের চলাচল।
এদিকে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, সচিবালয় স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম-২ এ উত্তরাগামী ট্রেনের অপেক্ষায় ছিলেন অসংখ্য যাত্রী। তাদের কিছু সংখ্যক ট্রেনে উঠতে প্ল্যাটফর্মের দরজা আটকে দাঁড়ান। এ কারণে দরজাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হচ্ছিল না।
তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেলের ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্মের দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনবার বন্ধ হওয়ার চেষ্টা করে। মাঝখানে প্রতিবন্ধকতা থাকলে বন্ধ হয় না। তিনবারের চেষ্টায় বন্ধ না হলে, দরজা খোলা থাকে। দরজা খোলা থাকলে ট্রেন চলে না। এ কারণেই কিছু সময় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
এ পরিস্থিতির জন্য যাত্রীদের অসচেতনতাকে দায়ী করেছেন এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, কিছু যাত্রী চেষ্টা করেছেন অন্যদের দরজা থেকে সরাতে। তারা সরেননি। রমজানের কারণে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কঠোর হচ্ছে না। রোজার পর এমন বিশৃঙ্খলা অব্যাহত থাকলে দায়ীদের গ্রেপ্তার করা হবে।
ইফতারের আগে দীর্ঘ সময় মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় র্যাপিড ও এমআরটি পাসধারীদের বের হওয়ার জন্য মেশিন ‘জিরো ব্যালেন্স’ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি যারা সিঙ্গেল ট্রিপের জন্য টিকেট কেটেছিলেন, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়।